চরফ্যাশনে দু‘প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রমে অচলাবস্থা!

প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ » চরফ্যাশনে দু‘প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রমে অচলাবস্থা!
মঙ্গলবার ● ৪ জুলাই ২০২৩


চরফ্যাশনে দু‘প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রমে অচলাবস্থা!

চরফ্যাশন (ভোলা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

চরফ্যাশন উপজেলায় পরীক্ষামূলক পাইলট প্রজেক্টের প্রাথমিক পর্যায়ের দু‘টি প্রতিষ্ঠানের নিন্ম মাধ্যমিক পর্যায়ের ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম চলছে এখন খুড়িয়ে খুড়িয়ে। ওই প্রতিষ্ঠানে নেই পর্যাপ্ত শিক্ষক ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা। ফলে এই তিনটি শ্রেণিতে শিক্ষকের অভাবে নিয়মিত পাঠদান হয়না। সরকারের পরিক্ষা-মূলক কুদরত-ই-খোদা শিক্ষানীতির পাইলট প্রজেক্টের কার্যক্রম ভেস্তে যেতে শুরু করেছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ২০১৩সালে উপজেলার আয়শাবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কচুখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি শুরু করেছে। ২০১৪ সালে ৭ম ও ১৫সালে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান কার্যক্রম চলছে। ওই সময় ৩ শ্রেণিতে পাঠদানের জন্যে ৬জন শিক্ষক দেয়া হয়েছিল। ওই থেকে ২০১৮সাল পর্যন্ত বিদ্যালয় দু‘টির পাঠদান কার্যক্রম ভাল চললেও বর্তমানে নেই কোন শিক্ষক ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা।
দু‘টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কচুখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ৫৫জন, ৭ম শ্রেণিতে ৭০জন। ৮ম শ্রেণিতে ৬৫জন শিক্ষার্থী রয়েছে। আয়েশাবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ৭৩জন, ৭ম শ্রেণিতে ৫৪জন ও ৮ম শ্রেণিতে ৭০জন শিক্ষার্থী রয়েছে।
বর্তমানে মাধ্যমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয় ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণিতে সেলেবাস পরিবর্তন করা হয়েছে। এই সকল প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষকদেরকে বিষয় ভিত্তিক কোন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেই। বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মো. ইব্রাহীম বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে বিল্লাল হোসেন ও আনোয়ার হোসেন নামের ২জন শিক্ষক রয়েছে। ৩ শ্রেণিতে দৈনিক  ১৮টি  বিষয় ২জন শিক্ষক দিয়ে পাঠদান করানো সম্ভাব নয়। এতে ৩ শ্রেণিতে শিক্ষা কার্যাক্রম ব্যহত হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র অভিবাবক মো. ইকবাল হোসেন বলেন, পাশর্^বর্তী হাজিরহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যা শিখেছে আমার ছেলে তা শিখতে পারেনি। এ ছাড়াও জেএসসির সনদে লেখা রয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়র নাম। ৬ষ্ঠ, ৭ম ও ৮মকে ধরা হয় মাধ্যমিক স্তর। এতে অধিকাংশ অভিবাবক বিদ্যালয়ে ভর্তি করাতে অনিহা প্রকাশ করেছে।
কচুখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যায়ের প্রধান শিক্ষক মেজবাহ উদ্দিন বলেন, এটি আমাদের জন্যে বাড়তি ঝামেলা। পর্যাপ্ত শিক্ষক, হাইবেঞ্চ ও ভবন নেই। জেএসসিতে নিবন্ধন করানো ও বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে গিয়ে প্রবেশপত্রসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন কাজগপত্র যাতায়াতে হয়রানীর শিকার হতে হয়েছে।
আয়শাবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম বলেন, ৩ শ্রেণিতে জয়নাল আবেদীন নামের একজন শিক্ষক রয়েছে। আর কোন শিক্ষক এই শাখায় দেয়া হয়নি। আমাদের ৩টি ভবন রয়েছে সবই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। জীবনঝুকি নিয়ে আমরা পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করছি।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার অহিদুর রহমান বলেন, সরকার এই নীতি ২০১৩সালে শুরু করেছে এখনও চলমান রয়েছে। শিক্ষক স্বল্পতার জন্যে পুরো শিক্ষক দেয়া সম্ভাব হচ্ছে না।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. মহিউদ্দিন বলেন, উপজেলায় দু‘টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান করানো হয়। চলতি বছর তাদেরকে প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়েছে।

এএইচ/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২৩:৪৯:২৭ ● ৬৪ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ