
ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
সমতাল ভূমিতে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর আর্থসামাজিক জীবন মানোন্নয়নের লক্ষ্যে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ৭০ জনের মাঝে ৭০ টি বকনা গরু বিতরণ করা হয়েছে।
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারী হাসপাতালের উদ্যোগে বুধবার (৭ মে) সকাল ১১ টার দিকে উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ৭০ জন নারী ও পুরুষের মাঝে ৭০টি বকনা গরু বিতরণ করা হয়েছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারী হাসপাতাল চত্বরে আয়োজিত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নারী ও পুরুষের মাঝে বকনা গরু বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর মেজর শেখ আরমান ইবনে ইদ্রিস, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসাহাক আলী, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সারোয়ার হাসান, উপজেলা ভেটেরিনারী সার্জন সজীব হাওলাদার, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম খন্দকার মহিব্বুল, উপজেলা বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা মো. নবিউল ইসলাম, পৌর বিএনপি’র সভাপতি মো. আবুল বাসার, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাজুল ইসলাম, পৌর যুবদরের সদস্য সচিব মো. মানিক মন্ডল প্রমুখ।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সারোয়ার হাসান বলেন, সমতাল ভূমিতে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর আর্থসামাজিক জীবন মানোন্নয়নের লক্ষ্যে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় চলতি অর্থ বছরে এই প্রথম উপজেলার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ৭০ জনের মাঝে বকনা গরু বিতরণ করা হয়েছে। তবে এই প্রকল্পের মেয়াদ আরো দু’বছর রয়েছে, এতে আগামীতেও এলাকার আরো কিছু ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর লোকজন বকনা গরু পেতে পারেন।
বকনা গরু পেয়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নারী স্বপ্না টুডু, পুতুল মার্ডীসহ রিপন মুর্মু, মাটালু সরেন ও সাম্যুয়েল টুডু বলেন, সরকারের কাছ থেকে বিনামূল্যে গরু পেয়ে ভীষণ খুশি লাগছে। সরকার না দিলে নিজের টাকা দিয়ে গরু কেনা কোনদিনও হতো না। গরুগুলো যতœসহকারে লালন-পালন করে নিজের ভাগ্য বদলানোর চেষ্টা করবেন তারা।
উল্লেখ্য, গত ১০ এপ্রিল ফুলবাড়ী উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারী হাসপাতাল থেকে ৭০ জন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মাঝে বকনা গরু বিতরণের আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু জেনটেক ইন্টারন্যাশনাল নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দরপত্রের শর্তকে উপেক্ষা করে আকার-প্রকার ভেদে এক বছরের নিচের বয়সের ৬৫ থেকে ৭০ কেজির ওজনের হাড্ডিসার বকনা গরু বিতরণের জন্য নিয়ে আসে। এতে করে স্থানীয়দের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের মুখে সেই বকনা গরুগুলো ফেরতও নিয়ে যেতে বাধ্য হয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
এসিজি/এমআর