
গৌরনদী (বেরিশাল) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
বরিশালের গৌরনদীতে পিঙ্গলাকাঠি বাজারের ভেতর দিয়ে ভেদ্রা খাল প্রবাহিত রয়েছে। প্রশাসনের বাঁধা উপেক্ষা করে উপজেলার পিঙ্গলাকাঠী বাজার এলাকায় সরকারি ভেদ্রা খাল দখল করে অবৈধ পাকা স্থাপনার নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে ২শিক্ষকসহ প্রভাবশালী ৬ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ফলে খালের স্বাভাবিক পানি প্রবাহ বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এতে বোরো চাষিদের মাঝে তীব্র অসন্তোষ ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, পালরদী নদীর সংযোগস্থল উপজেলার পিঙ্গলাকাঠী বাজারের ভেতর দিয়ে ৪ কিলোমিটার ভেদ্রা খাল প্রবাহিত হয়েছে। এ খালের উভয় পাড়ে ৬/৭ টি বোরো ব্লকে খাল থেকে সেচ পানি সরবরাহ করে আসছে। গত ৬ মাস আগে পিঙ্গলাকাঠি বাজার এলাকায় প্রায় ১২০/১৩০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২০/২৫ ফুট প্রস্থ পর্যন্ত সরকারি খাল দখল করে কলেজ শিক্ষক কামাল হোসেন, মাদ্রাসার মিক্সক জসিম হাওলাদার, রিপন শিকদার, খোকন বেপারী, কামাল বেপারী, মো. আসাদুল্লাহ অবৈধভাবে পাকা ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করেন। খবর পেয়ে উপজেলা ও ইউনিয়ন ভূমি অফিসরে কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌছে খালের ভেথর পাকা স্থাপনার নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। দখলদাররা গত ১৫ দিন আগে আবারও ওই নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন।
একাধিক কৃষক অভিযোগ করেন, খাল দখলের ফলে খালের স্বাভাবিক পানি প্রবাহ কমে যাবে। বোরো ব্লকে সেচ পানি দেওয়া যাবে না । আগামী বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা সৃষ্ঠির আশঙ্কা রয়েছে।
এ বিষয়ে নলচিড়া ইউনিয়ন (তহলীল) ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা মো. আব্বাস আলী বলেন, বিএস রেকর্ডে ওই খালটি খাস খতিয়ানে (সরকারের নামে) রেকর্ড রয়েছে। খবর পেয়ে উপজেলা ও ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌছে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। প্রশাসনের নিষেধ উপেক্ষা করেই প্রভাবশালী দখলদাররা সরকারি খালের ভেতর অবৈধ পাকা স্থাপনার নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। বিষয়টি আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।
অভিযুক্ত কলেজ শিক্ষক কামাল হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার মালিকানাধীন জমিতে আমি স্থাপনার নির্মাণ কাজ করে আসছি। আমরা ৬ জনই নির্মাণাধীন স্থাপনার জরিম মালিক। সরকারি খালের ভেতর স্থাপনা নির্মাণ করা হয়নি।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো, রাজীব হোসেন বলেন, সরকারি সম্পত্তি রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। প্রশাসনের বাঁধা উপেক্ষে করে কোন ব্যক্তি যদি সরকারি খাল দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ কাজ করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এএসআর/এমআর