কুয়াকাটায় ধ্বংস হচ্ছে নৌকা

প্রথম পাতা » কুয়াকাটা » কুয়াকাটায় ধ্বংস হচ্ছে নৌকা
রবিবার ● ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯


কুয়াকাটায় ধ্বংস হচ্ছে নৌকা

কুয়াকাটা (কলাপাড়া) সাগরকন্যা অফিস॥

সংস্কারের অভাবে দিনে দিনে হারিয়ে যাচ্ছে কুয়াকাটা ঐতিহ্যবাহী আড়াইশ বছরের পুরানো আদীবাসি রাখাইনদের পালতোলা নৌকা। যাদুঘরের নাম করে ২১ আগস্ট ২০১৩ সালে  উদ্বোধনে করলেও গত দুই বছর ধরে বৃষ্টিতে ভিজে আর রৌদ্রে শুকীয়ে নস্ট হতে চলছে আদীবাসিদের আদী স্মৃতি বিজড়িত এই সোনার বা পিতলের নামের নৌকাটি। কুয়াকাটা আগত পর্যটকদের ১৩ টি দর্শনীয় স্থানের মধ্যে এটি অন্যতম স্থান। এ বেহাল দশা দেখে হাজার হাজার পর্যটকরা হতাশা প্রকাশ করছেন। পতœতত্ব বিভাগ দ্রুত এ যাদুঘরটি সংস্কারের এর ব্যাবস্থা না নিলে অচিরে কালের স্বাক্ষী পালতোলা জাহাটি হারিয়ে  যাবে বলে এমটাই ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ট্যুরিজম ব্যবসায়ীরা।
জানাযায়-কুয়াকাটার ইতিহাস ঐতিহ্য কালের স্বাক্ষী আড়াই-শ বছর আগে  মায়ানমার থেকে পালিয়ে ১৫০ পরিবার নিয়ে আসা রাখাইনদের পালতোলা জাহাজটি আজ ধংসের মুখে। ওইযুগে জাহাজটি সৈকতের ছোট খালের মধ্যে রেখে এই এলাকায় প্রথম জনোবসতি স্থাপন করেন রখাইনরা এবং ওই জাহাটি ধিরে ধিরে পলি পরে মাটির নিচে চাপা পরে। কালের পরির্বতনে আড়াইশ বছর পরে আবার ২০১০ সালের শেষেদিকে কুয়াকাটার সমুদ্র সৈকত ভেঙ্গে যাওয়ায় ৭২ ফুট দৈর্ঘ্য ২৪ ফুট প্রস্ত বিশাল এই পালতোলা জাহাজটি বের হয়ে আসে। তখনকার বিভিন্ন পত্র পত্রিকা এবং টেলিভিশনের সংবাদের কারণে সরকারের নজরে পরলে ২০১৩ সালে ২৭ জানুয়ারী কোটি টাকা খরচ করে সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের অর্থয়ানে পতœতত¦ বিভাগ জাহাজটি তোলার  উদ্যোগ নিয়ে কুয়াকাটা বৌদ্ধবিহার সংলগ্নে টিন সেট স্থাপনা করে কুয়াকাটা যাদুঘর নামে নাম করণ করা হয় । যেখানে আগত পর্যটকরা এক নজর দেখার জন্য প্রতিদিন এখনও ভীরজমায় । যা এখন ধংস হতে চলছে।
কালের স্বাক্ষী এই জাহাটির আজ বেহাল দশায় পরিনতি দেখে আদীবাসি রাখাইনদের পক্ষে কুয়াকাটা শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধবিহারের  বানতে ঠাকুর বলেন  আমাদের আদি পূর্বপুরুষের এই নৌকাটি এ নিয়ে অনেক স্মুতি রয়েছে আমদের রাখাইদের। সংস্কারের না করায় কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা নিয়ে কথা বললেন তিনি। কুয়াকাটার শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক জনি আলমগীর জানান,  কুয়াকাটার ইতিহাসের কালে স্বাক্ষী এই পিতলের নৌকাটি অযতেœ পরে আছে র্দীঘদিন ধরে তার পরও এদৃশ্য দেখতে আসে হাজারও পর্যটক কিন্ত ভগ্নদশা দেখে ক্ষোভপ্রকাশ করে চলে যায়, তাই আমি এই যাদুঘরটির সংস্কার কারার দ্রুত দাবি জানাই। ওই স্থানের কাউন্সিলর তোফায়েল আহমে¥দ তপু বলেন, নৌকাটির উপরে টিনসেট না থাকায় রৌদ্রে শুকায় ও বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট হচ্ছে কুয়াকাটার পুরানো স্মৃতি। কর্তৃপক্ষের নজর না থাকায় এই দৃশ্য দেখতে হয় আমাদের। আমি তাদেও আবারও আবেদন জানাই এই কাজটি দ্রুত করার জন্য।
বরিশাল ও খুলনার দ্বায়ীত্বে থাকা পতœততœ বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক  আফরোজা খান মিতা দৈনিক মানবজমিনকে বলেন,কুয়াকাটার পালতোলা জাহাজটির সংস্কার এবং যাদুঘরের ভবন নির্মাণের কাজ কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হবে আশা করছি তবে র্নিদিষ্ট তারিখ এখনও বলা যাবে না।

এইচএ/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২০:১৮:১২ ● ৩৪২ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ