গৌরনদীতে মালিকানা বিরোধে ফিলিং স্টেশনে তালা

প্রথম পাতা » বরিশাল » গৌরনদীতে মালিকানা বিরোধে ফিলিং স্টেশনে তালা
শনিবার ● ৩ মে ২০২৫


গৌরনদীতে আরিফ ফিলিং স্টেশন

গৌরনদী (বরিশাল) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

মালিকানা বিরোধকে কেন্দ্র করে বরিশালের গৌরনদীতে আরিফ ফিলিং স্টেশন নামের একটি তেলের পাম্পে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে অপর মালিকপক্ষ।  শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার বার্থী ইউনিয়নের তাঁরাকুপি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে ফিলিং স্টেশনের  ২ মালিক পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে উপজেলা ও থানা প্রশাসন ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন ও পাম্পের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কটকস্থল গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মজিবর রহমান ওরফে ইঙ্গুল মাঝি ও তার ছেলে মানিক মাঝি তাদের মালিকানা বুঝে নিতে শনিবার সকালে আরিফ ফিলিং স্টেশনে যায়। এ সময়  ইঙ্গুল মাঝির ১৫/২০ নারী সমর্থক ফিলিং স্টেশনের তালা ঝুলিয়ে দেয়। তখন পাম্পের ষ্টাফ মো. হুমায়ন বাঁধা দিলে  হুমায়নের সঙ্গে ২ নারীর ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে।  এ নিয়ে উভয় মালিক পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে  খবর পেয়ে উপজেলা ও থানা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি মান্ত হয়।
গৌরনদী থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করেছি।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রাজিব হোসেন বলেন, পরিস্থিতি শান্ত রাখার জন্য মিমাংসা না হওয়া পর্যন্ত পাম্প বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। উভয় পক্ষকে মালিকানার কাগজপত্র নিয়ে ইউএনও অফিসে হাজির হতে বলা হয়েছে।
সরেজমিনে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানাগেছে, উপজেলার তাঁরাকুপি গ্রামের হারুন অর রশিদ বেপারী ২০২০ সালে  কটকস্থল বাসস্ট্যান্ডের কাছে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক ঘেঁষে  আরিফ ফিলিং স্টেশন নামে একটি তেলের পাম্প নির্মাণ কাজ শুরু করেন। নির্মাণ কাঝ চলাকালিন সময় টাকার অভাবে তেলের পাম্পটি চালু করতে না পারায় ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সুন্দরদী গ্রামের আলহাজ¦ মো. ফরহাদ হোসেন মুন্সীর কাছে ৬ আনা ও কটকস্থল গ্রামের মজিবর রহমান মাঝির কাছে ৪ আনা অংশ নন জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পের মাধ্যমে বিক্রি করেন। ওই বছরের ১১ জুন ফরহাদ মুন্সী তার মালিকানার অংশ বীর মুক্তিযোদ্ধা মজিবর রহমান মাঝির বড় ছেলে মানিক মাঝির কাছে বিক্রি করে দেয়। এছাড়া ব্যবসা পরিচালনার জন্য মজিবর রহমান মাঝির মেঝ ছেলে হীরা মাঝির কাছ থেকে পাম্পের তৈল ক্রয় করার জন্য স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ৪০ লাখ টাকা  সুদে নেয় লিলিং স্টেশনের মালিকরা। তবে পরবর্তী সময় হারুন ও তার মেয়ে পপি, জামাতা সরকারি চাকুরিজীবী আজমল সোহাগ প্রতিপক্ষকে মালিকনা ও ঋণের টাকা ফেরত না দেওয়ার জন্য নানা টালবাহানা করে আসছিল। কিন্তু মজিবর রহমান মাঝি ও তার বড় ছেলে মানিক মাঝি তাদের মালিকানা ও  ঋণ বাবদ নেওয়া টাকা ফেরত পেতে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

 

 

এএসআর/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২১:৩৭:৫৮ ● ১২ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ