দুমকিতে অগ্নিদগ্ধে নিহত গৃহবধূর দাফন সম্পন্ন

প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » দুমকিতে অগ্নিদগ্ধে নিহত গৃহবধূর দাফন সম্পন্ন
রবিবার ● ১১ জুন ২০২৩


দুমকিতে অগ্নিদগ্ধে নিহত গৃহবধূর দাফন সম্পন্ন

দুমকি (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

পটুয়াখালীর দুমকিতে হাত-পা বেঁধে মুখোশধারী দুবৃত্তের দেয়া আগুনে পুড়ে মৃত সেই গৃহবধু হালিমা আক্তার মীমের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
গতশনিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার দুমকি সাতানি গ্রামে নিহতের বাবার বাড়িতে পৌঁছলে ওই রাতেই জানাজা শেষে লাশ দাফন করা হয়। দুবৃত্তের দেয়া আগুনে দগ্ধ হয়ে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন
অবস্থায় শুক্রবার বিকেলে হালিমা আক্তার মীমের মৃত্যু ঘটে। একই ঘটনায় দগ্ধ মীমের ছয় মাসের ছেলে জিসান এখনো সেখানে চিকিৎসাধীন আছে।
গত ৮জুন বিকেলে দুমকি উপজেলার নতুন বাজারসংলগ্ন শাহজাহান মুন্সির ভাড়াটে বাড়ি থেকে হালিমা ও তাঁর ছয় মাসের ছেলে জিসানকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে এলাকাবাসী। এ সময় ওড়না দিয়ে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ছিলেন হালিমা। ঘরের দরজা বাইরে থেকে লাগানো ছিল।
এ ঘটনায় হালিমা আক্তার মীমের মামা ওমর ফারুক বাদী হয়ে দুমকি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় নিহত গৃহবধূর শাশুড়ি পিয়ারা বেগমসহ অজ্ঞাতনামা তিন-চারজনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ শাশুড়ি পিয়ারা বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, নিহত হালিমার শাশুড়ি পিয়ারা বেগম ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের পরিকল্পনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা হালিমা আক্তার মীমকে হত্যার উদ্দেশ্যে হাত, পা ও মুখ বেঁধে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়েছে। হালিমা আক্তার মীমের স্বামী জাফর হোসেন প্রিন্স বলেন, আগুনে দগ্ধ তাঁর শিশুপুত্র জিসান ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সেখানে হালিমার মা ফাতেমা বেগম রয়েছে। স্ত্রীর লাশ নিয়ে তিনি শনিবার রাতে এলাকায় এসে নিহতের বাবার বাড়িতে দাফন করা হয়েছে।
দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল বাশার সাগরকন্যা বলেন, তাঁদের পারিবারিক বিরোধ ছিল। নিহতের শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এলাকার লোকজনসহ
নিকটাত্মীয়দের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।


এমআর

বাংলাদেশ সময়: ০:১৫:৫৮ ● ১০৪ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ