প্রেমের টানে জামার্নি তরুনী গোপালগঞ্জে

প্রথম পাতা » ঢাকা » প্রেমের টানে জামার্নি তরুনী গোপালগঞ্জে
সোমবার ● ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩


প্রেমের টানে জামার্নি তরুনী গোপালগঞ্জে

গোপালগঞ্জ সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

প্রেমের টানে সাত সমুদ্র পাড়ি দিয়ে গোপালগঞ্জে এসে ভালবাসার মানুষকে বিয়ে করলেন জার্মানির তরুনী জেনিফার স্ট্রায়ার্স (১৮)।  আর সুদীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে যার জন্য তিনি বাংলাদেশে এসেছেন তিনি হলেন গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার জোতকুরো গ্রামের ইতালী প্রবাসী রবিউল ইসলামের ছেলে চয়ন ইসলাম (২২)।
সোমবার দুপুরে গোপালগঞ্জে আদালতে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে এফিডএভিট করে জেনিফার স্ট্রায়ার্স ও চয়ণ ইসলাম জুটির মধ্যে বিবাহ সম্পন্ন হয়। এরআগে ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে জার্মান থেকে হযরত শাহ জালার আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে এসে নামেন।সেখানে জেনিফারকে স্বাগত জানান চয়ন ইসলাম ও তার স্বজনরা । পরে ওই রাতে সড়ক পথে গোপালগঞ্জে এসে শহরের মডেল স্কুল রোডের চয়ণের এক আত্মীয়ের বাসায় ওঠেন তারা। এসময় বিদেশী বধুকে পেয়ে চয়নের স্বজনরা আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠে। খবর পেয়ে নবদম্পতিকে দেখতে পাড়া প্রতিবেশী ও উৎসুক মানুষদের ওই বাড়িতে ভীড় করতে দেখা যায় । পরে পুত্র বধুকে ফুল দিয়ে বরণ করেন চয়ণের মা ঝর্ণা বেগম।
জেনিফার স্ট্রায়ার্সের বাবা জোসেফ স্ট্রয়ার্স ও মা ইসাবেলা স্ট্রায়ার্স। জার্মানির বাইলেফেল্ড স্টেটে তারা বসবাস করেন। পরিবারে বাবা-মা ছাড়াও জেনিফারের আরও দুই বোন রয়েছে। সে বোনদের মধ্যে দ্বিতীয়। জেনিফার খ্রীষ্টায় ধর্মের অনুসারি। সে মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করেছে ।
বর চয়ণ ইসলাম জানান, পাঁচ বছর আগে জামার্নিতে ভাষা শিক্ষার উপর একটি কোর্স করার সময় তার সাথে জেনিফারের পরিচয় হয়। সেখান থেকে দু’জনের মধ্যে বন্ধুত্ব সৃষ্টি হয়। এক পর্যায় তাদের  সম্পর্ক প্রেমে রুপ নেয়। এরপর ২০২২ সালের ১০ মার্চ তিনি বাংলাদেশে ফিরে যান। এতে তাদের মধ্যে কোন দূরত্ম সৃষ্টি হয়নি।ওইসময় তাদের মধ্যে ভার্সুয়ালি যোগযোগ হতো। সম্প্রতি জেনিফার বাংলাদেশে আসার জন্য আগ্রহী হলে আমি তাকে সম্মতি দেই। পরে দু’জনের সম্মতিতে আমরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছি।
জার্মানি তরুনী জেনিফার তার অনুভ’তি প্রকাশ করে বলেন, স্বামীর বাড়ির লোকজনের ভালবাসা ও আথিতীয়তায় সে মুগ্ধ হয়েছে। শ^াশুড়ি, ননদ ও অন্যান্য আত্মীয় স্বজনরা এভাবে তাকে কাছে টেনে নেবে তা সে কল্পনাও করতে পারেনি। স্বামীর বাড়ির লোকজনের ভাল ব্যবহারের কথা আমি আমার বাবা-মাকে জানিয়েছি। তারা খুব খুশি হয়েছেন  এবং  আমাদের জন্য দোয়া করেছে ।
জেনিফারের শ^াশুড়ি ঝর্ণা বেগম জানান, বিদেশী পুত্রবধুকে পেয়ে আমরা অনেক খুশি। অল্প সময়ের মধ্যে জেনিফার আমাদের খুবই আপন করে নিয়েছে। গরমে ওর একটু কষ্ট হচ্ছে। এতেও কোন অভিযোগ নেই তার। আমাদের সাথে স্বাভাবিক খাবার খেয়েছে। দুই এক দিনের পুত্রবধুকে আমাদের গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাব। নবদম্পত্তির জন্য দোয়া চেয়েছেন ঝর্ণা বেগম।

এইচবি/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৯:৩৫:২৯ ● ১৭১ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ