চরফ্যাশনে বিআরডিবি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ » চরফ্যাশনে বিআরডিবি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
বুধবার ● ৪ জানুয়ারী ২০২৩


চরফ্যাশনে বিআরডিবি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

চরফ্যাশন (ভোলা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

.
চরফ্যাশন উপজেলার পল্লীউন্নয়ন বোর্ডের কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যানের যাঁতাকলে সদস্যরা। পদ-পদবী দখল করতে সাবেক ও বর্তমান ২চেয়ারম্যানের কার্মকান্ডে উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। বর্তমান চেয়ারম্যানের রিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তোলা হচ্ছে।
অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, বর্তমান চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান মিজান মিয়ার বিরুদ্ধে মূলধনের হিসাব না পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। সমিতির শেয়ার মুলধন ৩৬লক্ষ টাকা হলেও কাগজপত্রে ১৬লক্ষ টাকা দেখানো হয়েছে। ২০২১ সালের জানুয়ারী মাসে মাঠপর্যায়ে ২১০ টি সমিতির নিবন্ধন থাকলেও উপজেলা কেন্দ্রীয় সমিতি ( ইউসিসিএলি:) নির্বাচনে মাত্র ১১১টি সমিতির থেকে ভোটার নির্ধারণ করে ভোট সম্পন্ন করে এম মাকসুদুর রহমান মিজান মিয়া জয়ী হন। তিনি জয়ী হওয়ার জন্য তাকে ভোট দিবে না সন্দেহে ২১০টি নিবন্ধনকৃত সমিতি থেকে মাত্র ৬১ জনকে ভোটার করেন। অপরদিকে জাফরউল্লাহ বাবুল ৫০জনকে ভোটার করে নির্বাচন সম্পন্ন করেন।
নির্বাচনে সাবেক  চেয়ারম্যান জাফরউল্লাহ বাবুলকে সমর্থণ করতে পারে আশংকায় বাকী সমিতির সকল প্রকার কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এমনকি ২০১৯ সালে নেয়া লোনের টাকা পরিশোধ হওয়াসত্বেও সমিতির হিসাব দিচ্ছে না সদস্যদেরকে। বর্তমান চেয়ারম্যানের কাছে ওই সকল সমিতির সদস্যগন ঋণের জন্যে বারবার তাগিদ দিলেও তাদেরকে কোন ঋণ দেয়া হচ্ছেনা।
তাদের সমিতির হিসাব না পেয়ে ৮ নং  আসলামপুর কৃষক সমবায় সমিতি, ৪ নং মধ্য চর নাজিমউদ্দিন কৃষক সমিতি, ৬নং হাজারী গঞ্জ উজালা সমিতি,  জাহানপুর বিপ্লব সমবায় সমিতি, ১০ নং জাহানপুর কৃষক সমবায় সমিতি,  ৮নং আসলামপুর জনতা কৃষক সমবায় সমিতি, আসলামপুর সবুজ কৃষক সমবায় সমিতির ম্যানেজারের পক্ষে মো. ফারুক বাদী হয়ে মুলধনের হিসাব চেয়ে ২৫ ডিসেম্বর ২২ আরডিও বরাবর আবেদন করেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, পরিদর্শক মাহজুর রহমানের শ্বশুর একটি সমিতি ম্যানেজার ও ঋণ গ্রহীতা হওয়াসত্বেও তিনি তার সমিতির নাম, অবস্থান, সদস্য সংখ্যা বলতে পারেন না। ৮ মার্চ ২১সালে ৪ নং মধ্য চর নাজিমউদ্দিন কৃষক সমবায় সমিতি লিমিটেড’র ঋণ ১০০% আদায় প্রত্যায়ন দেন আরডিওএইচ,এম, সুমন। কিন্তু একই বছর ৯ সেপ্টেম্বর ঐ সমিতির ঋণের টাকা আতœস্ৎ করার অভিযোগ এনে জাফরউল্লাহ বাবুলকে সমর্থন করার অজুহাতে পরিদর্শক মো.   ইলিয়াসকে ঋণ আদায় কার্যক্রম থেকে অব্যহতি দেয়া হয়। ২১ সালের  ৮ জুলাই ইলিয়াস সমিতির কাগজপত্র প্রমানদি নিয়ে অফিসে যাওয়ার সময় বর্তমান চেয়ারম্যানের মামাতো ভাই সাজ্জাদ হোসেন মিশূ তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, নগদ টাকা, কাগজ পত্র বিআরডিবির মোড়ে দাঁড়িয়ে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় আদালতে সিআর নং ৪৬৭/২১ চলমান রয়েছে। ইলিয়াস অভিযোগ করেন, আমি অফিসে যাওয়ার চেষ্টা করলেও তার মাস্তান বাহিনী বারবার হামলা চালিয়ে তাকে আহত করে।
সাবেক চেয়ারম্যান জাফরউল্লাহ বাবুল লিখিত ভাবে অডিট প্রতিনিধি দলের কাছে জানান, তিনি বিদায়কালীন সমিতির সদস্যদের ৩৬লক্ষ টাকা জমা ছিল। বিআরডিবির ২টি পুকুর বাৎসরিক ২১ হাজার টাকা মিজান মিয়ার সমিতি’র সদস্যর নামে লিজ দেখিয়ে নিজেই ভোগ করেছেন। এমনকি লিজের টাকাও জমা দেননি।
অনুসন্ধানে আরও জানাযায়, চেয়ারম্যান এম মাকসুদুর রহমান মিজানের বাড়ী পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডে হলেও তিনি কেরামতগঞ্জ কৃষক সমবায় সমিতির সদস্য হয়ে চেয়ারম্যান হয়েছেন।
২০২১ সালের অডিট রিপোট অনুযায়ী বিআরডিবির ৪একর ২৮ শতাংশ জমির মূল্য ছিল ১৬ লক্ষ ৭১ হাজার ৫ শত ৯৪ টাকা দেখানো হয়েছে। শেয়ার মূলধন ১৪ লক্ষ ৩১ হাজার ৯ শত ৪০ টাকা । সঞ্চয় আমানত ১৬ লক্ষ ৮৪ হাজার ৬শত ৮৭ টাকার হিসাবের খতিয়ান হালনাগাদ লিপিবদ্ধ ছিল না।
আরডিও এম সুমন মিয়া বলেন, এগুলো সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যানদের বিষয়। তবে আমি জানি অভিযোগের ভিত্তিতে বিভাগীয় ভাবে তদন্ত করা হয়েছে। লিজের ২১হাজার টাকা জমা দিয়েছে।
এ বিষয়ে এম মাকসুদুর রহমান মিজান মিয়া সাগরকন্যাকে বলেন, ২১ সাল পর্যন্ত পুকুর লিজের টাকা আমার কাছে ছিল । আমি জমা দিয়েছি। ৩৬ লক্ষ টাকা সদস্যদের শেয়ার মূলধন বিষয়ে বলেন, আমি কোন খাতাপত্রপাইনি ব্যাংক থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এগিয়ে যাচ্ছি।
২১০ টিনিবন্ধনকৃত সমিতির মধ্যে বাকী সমিতি সর্ম্পকে জানতে চাইলে তিনি জানান, নিস্কিয় সমিতি গুলো ১৪ জানুয়ারী-২০২৩ তারিখে এজিএম এ সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

এএইচ/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২৩:৩৯:৪১ ● ৭৪ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ