আমতলীতে কারণ ছাড়াই ভেঙ্গে পরেছে নরবড়ে সেতু

প্রথম পাতা » বরগুনা » আমতলীতে কারণ ছাড়াই ভেঙ্গে পরেছে নরবড়ে সেতু
রবিবার ● ১১ মে ২০২৫


আমতলীতে কারণ ছাড়াই ভেঙ্গে পরেছে নরবড়ে সেতু

আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

অবশেষে কারন ছাড়্ইা আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের গাজীপুর-কাঠালিয়া সড়কের বাজে সিন্ধুক খালের নরবড়ে আয়রণ সেতু ভেঙ্গে পরেছে। স্থানীয়রা সেতুর নরবড়ে অবস্থা দেখে গত ২৫ এপ্রিল  স্বেচ্ছাশ্রমে সেতুর পাশে বাঁধ নির্মাণ করছেন। বাঁধ নির্মাণ শেষ না হতেই শনিবার রাতে সেতু ভেঙ্গে পরেছে।এতে আমতলী, কলাপাড়া ও গলাচিপা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের অন্তত এক লাখ লোকের চলাচলের মারাত্মক সমস্যা হবে।
জানাগেছে, আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের গাজীপুর- কাঠালিয়া সড়কের বাজে সিন্ধুক খালে ২০১০ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কোটি টাকা ব্যয়ে আয়রণ সেতু নির্মাণ করে। তৎকালীন হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি শহীদুল ইসলাম মৃধা ওই সেতু নির্মাণ করেন। নি¤œমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে ঠিকাদার সেতু নির্মাণ করায় পাঁচ বছরের মাথায় বীম ভেঙ্গে সেতু নরবড়ে হয়ে যায়। গত ১০ বছর ওই নরবড়ে সেতু দিয়ে আমতলী, কলাপাড়া ও গলাচিপা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের অন্তত এক লাখ মানুষ ও যানবাহন চলাচল করেছে। বর্তমানে ওই সেতুটি চলাচলের সম্পুর্ন অনুপোযোগী হয়ে পরে। কিন্তু স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ সেতু নির্মাণে কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না। এতে মানুষ ও যানবাহনের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।  ফলে স্থানীয়রা মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে গত ২৫ এপ্রিল স্বেচ্ছাশ্রমে সেতুর পাশের খালে বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। গত ১৫ দিন ধরে ওই  সেতুর পাশে বাঁধ নির্মাণ কাজ করেন স্থানীয়রা। কাজ শেষ না হতেই শনিবার রাতে সেতু ভেঙ্গে পরে যায়।
হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আবু সালেহ বলেন, স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমে বাজে সিন্ধুক খালে বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু করে। গত ১৫ দিন ধরে কাজ চলছে। কাজ শেষ হতে না হতেই সেতু ভেঙ্গে পরেছে। এতে লক্ষাধীক মানুষ ও যানবহানের চলাচলে সমস্যা হবে।
আমতলী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মাহবুবুল আলম মৃধা বলেন, ঠিকাদার শহীদুল ইসলাম মৃধা ২০১০ সালে নি¤œমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে বাজে সিন্ধুক খালে আয়রণ সেতু নির্মাণ করেছেন। গত পাঁচ বছর আগে ওই সেতু অত্যান্ত ঝুকিপুর্ণ হিসেবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ চিহিৃত করেছেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওই সেতু দিয়ে মানুষ ও যানবাহন চলাচল করতো। ওই সেতু চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে যায়। গত ১৫ দিন ধরে এলাকাবাসী সেতুর পাশে বাঁধ নির্মাণ করছিল। কাজ শেষ না হতেই সেতু    ভেঙ্গে পরেছে।  ওই খালে  সরকারীভাবে গাডার সেতু নির্মাণের দাবী জানান তিনি।
হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি ঠিকাদার শহীদুল ইসলাম মৃধার সঙ্গে তার মুঠোফোনে (০১৭১৫৩০৮৪০৪) যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
আমতলী উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মোঃ ইদ্রিস আলী বলেন, সেতু  ভেঙ্গে যাওয়ার খবর পেয়েছি। আগামীকাল পরিদর্শণে যাব। তিনি আরো বলেন, আগেই ওই সেতু ঝুকিপুর্ণ ছিল। ওই খালে গাডার সেতু নির্মাণের প্রস্তাব অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্প পাশ হলেও দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।

 

 

এমএইচকে/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২০:৫৯:১৬ ● ৭ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ