দশমিনায় বিধবা আঙ্কি মাথা গোঁজার ঠাই চায়

প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » দশমিনায় বিধবা আঙ্কি মাথা গোঁজার ঠাই চায়
সোমবার ● ১৮ জানুয়ারী ২০২১


দশমিনায় বিধবা আঙ্কি মাথা গোঁজার ঠাই চায়

rদশমিনা(পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

প্রায় দেড়যুগ পুর্বে স্বামী মৃত্যুর পর দুই সন্তান- জুয়েল(১৭) ও পুর্ব চাঁদপুরা দাখিল মাদ্রাসায় ৮ম শ্রেনীতে পড়–য়া রায়হানকে নিয়ে জীবনযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন আঙ্কি বেগম(৫০)। মানুষের বাসা বাড়িতে কাজ করে সন্তান নিয়ে খেয়ে না খেয়ে ভাঙা কুঁড়েঘরে বসবাস করে আসছেন তিনি। দীর্ঘ বছর বর্ষার মৌসুমে বৃষ্টিতে বিছানাসহ সন্তানদের নিয়ে জলে ভিজে বসবাস করছেন।
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের চাঁদপুরা গ্রামে জয়নাল হাওলাদারের স্ত্রী আঙ্কি বেগম । এখন তার বড় ছেলে জুয়েল মানুষের সাথে দিন মজুরের কাজ করেন।
জানা যায়, দীর্ঘ বছর যাবৎ দুই সন্তান নিয়ে স্বামীর বাড়িতে আশ্রায় স্থানের অভাবে বাবার বাড়িতে জরাজীর্ণ বসত ঘরে বসবাস করে আসছেন। তিনি মানুষের সহায়তায় জীবিকা নির্বাহ করেন এবং বড় ছেলে মানুষের সাথে দিন মজুরের কাজ বরেন।  বাবার বাসত ভিটা ব্যতীত তাঁর নিজস্ব কোন জমি নেই। বর্তমানে অত্যন্ত জরাজীর্ন অবস্থায় রয়েছে বসবাস করার ঘর। ভাঙা ঘরটি পুরানো টিন এবং পলিথিন দিয়ে রয়েছে। সামনে বর্ষার সময়, বাড়ির তাঁবু থেকে জল পড়ে এবং বাঁশ এবং বিছানাসহ সবকিছু ভেজা এবং নষ্ট হয়ে যায়। যদি একটু বন্যা হয় তবে বাড়িটি পরে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ঝড়ের বন্যায় তার সন্তানদের নিয়ে অন্য লোকের ঘরে আশ্রায় নিতে হয়। এই পরিস্থিতিতে জরাজীর্ণ ঘরে অমানবিকভাবে জীবনযাপন করছেন।
আঙ্কি বেগম বলেন, সামনে বৃষ্টির মৌসুম পোলাগোরে লইয়া কই যামু। বৃষ্টিতে হারারাইত ঘরের কোনায় ভেজা বইয়া থাকি। খাইয়া না খাইয়া এমন করে আছি। সরকার যদি একটু থাকার ঘর করে দিতে। ভাঙা ঝুপড়ির ঘর লইয়া খুব চিন্তায় আছি। বাঁচার জন্য একটি ঘর করে দিতো সরকার।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসাঃ তানিয়া ফেরদৌস বলেন, খোঁজ খবর নিয়ে মজিব বর্ষের প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত ঘর নির্মাণ করে দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

এসবি/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৬:২৭:২৭ ● ৭১৯ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ