কলাপাড়ায় আবাসিক এলাকায় বিস্কুট কারখানা!

প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » কলাপাড়ায় আবাসিক এলাকায় বিস্কুট কারখানা!
বৃহস্পতিবার ● ৩ ডিসেম্বর ২০২০


কলাপাড়ায় আবাসিক এলাকায় বিস্কুট কারখানা!

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা অফিস॥

পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌরশহরে পরিবেশ দুষণের তোয়াক্কা না করে আবাসিক এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে উঠছে বিস্কিট কারখানা। পৌর শহরের ৯ নং ওয়ার্ডের একুশে সড়কে একটি বিস্কিট কারখানা ৭ বছর ধরে প্রসাশনকে ম্যানেজ করে বীরদর্পে চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকাবাসী কারখানাটি বন্ধের অভিযোগ পত্র নিয়ে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। পরিবেশ ও  শব্দ দুষণের কারণে ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখায় ব্যাঘাত ঘটায় উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার পৌর শহরের ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. সালাম মিয়া তার নিজ বাড়িতে সালাম বিস্কিট ফ্যাক্টরী নামে একটি কারখানা গড়ে তুলেছেন। কারখানায় বর্তমানে একটি চুল্লি রয়েছে,তার পরও আরোও একটি চুল্লি বানানো হচ্ছে। সেখানে মটর চালিয়ে কাজ পরিচালনা করা হয়। অনেক রাত পর্যন্ত মটর দিয়ে কাজ করায় শব্দ দুষণের শিকার হচ্ছে কঁচি-কাঁচা সোনমনিরা।এছাড়া কারখানার চারপাশে একাধিক বাড়ি থাকায় সেখানকার ছেলে-মেয়েদের লেখা-পড়ায় মনোনিবেশে সমস্যা হচ্ছে বলে স্থানীয় অভিভাবকদের অভিযোগ। তারা আরও বলেন, সারাক্ষণ কারখানায় কাজ চলায় শব্দ দূষণ হওয়ায় আমাদের ছেলে-মেয়েদের লেখা পড়ায় সমস্যা হচ্ছে। অতিমাত্রায় শব্দ দূষণের কারণে ছোট ছোট বাচ্চাদের শ্রবণ সমস্যাসহ বিভিন্ন ধরণের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এসব সমস্যার কারণে কারখানাটি অন্যত্র সরিয়ে নিতে বললে কারখানার মালিক সালাম মিয়া আমাদের সাথে দুর্ব্যবহার করে। এবং আমাদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। কারখানাটি অনত্র সরিয়ে নেয়ার জন্য কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর মেয়রের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলেও প্রকৃত কোন সুরাহা পায়নি এলাকাবাসী।
এবিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দিলে তিনি তা পৌর মেয়রের নিকট পাঠান। তবে পৌর মেয়রের পক্ষ হতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হলেও কোন সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগকারীরা জানান।
এবিষয়ে কলাপাড়া পৌর মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার বলেন, আমি সেখানে লোক পাঠিয়ে তার সমাধান দিয়েছি। কারখানা মালিককে তার কারখানার পিছনে চুল্লি করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এসকেআর/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৯:১৮:৪৩ ● ৪৯৯ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ