গৌরনদীতে ভাগ্নীর যৌণাঙ্গে ছ্যাঁকা, মামী গ্রেফতার

প্রথম পাতা » বরিশাল » গৌরনদীতে ভাগ্নীর যৌণাঙ্গে ছ্যাঁকা, মামী গ্রেফতার
বৃহস্পতিবার ● ২৬ নভেম্বর ২০২০


গৌরনদীতে ভাগ্নীর যৌণাঙ্গে ছ্যাঁকা, মামী গ্রেফতার

গৌরনদী (বরিশাল) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥


দুষ্টামি  করার জেরধরে বরিশালের গৌরনদীতে এলমা আক্তার (৪) নামে এক ভাগ্নীর যৌণাঙ্গে গরম চামচের ছ্যাঁকা দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গৌরনদী পৌরসভার গোবর্দ্ধন এলাকার নির্যাতিতার বাবা শফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে প্রথম স্ত্রীর বড় ভাইয়ের বৌ (শিশুটির মামী) শাহানাজ বেগম (৩৫)কে আসামি করে বুধবার দিবাগত রাতে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছে। তাৎক্ষনিক থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মামী শাহানাজ বেগমকে গ্রেফতার করেছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও থানার এসআই আবদুল হক জানান, এলমা আক্তারের বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করার কারণে  এলমা তার মা মরিয়ম আক্তার আখি’র সঙ্গে গত ৩ বছর পূর্বে পৌরসভার উত্তর বিজয়পুর এলাকায় মামা রমজান সরদারের বাড়িতে চলে যায়। এরপর শফিকুল তার প্রথম স্ত্রী আখি ও মেয়ে এলমার কোন খোঁজখবর রাখেন না। মামা বাড়িতে থাকার সুবাদে এলমা প্রায়ই দুষ্টামি করে আসছিল। এতে মামী শাহানাজ বেগম ক্ষিপ্ত হয়ে ষ্ট্রীলের চামচ গরম করে ২১ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে ভাগ্নী এলমার যৌনাঙ্গে ছ্যাঁকা দেয়। এতে ওই শিশুর যৌণাঙ্গ ঝলসে গেলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। বিষয়টি  বুধবার বিকালে শিশুটির বাবা শফিকুল জানতে পারেন। এ ব্যাপারে নির্যাতিতা শিশুর বাবা শফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে শিশু’র মামী শাহানাজ বেগমকে আসামি করে বুধবার রাতে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। তাৎক্ষনিক তিনি সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মামী শাহানাজ বেগমকে গ্রেফতার করেন।  গ্রেফতারকৃতকে বৃহস্পতিবার দুপুরে বরিশাল অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালতের বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ২২ ধারায় জবানবন্দির জন্য নির্যাতিতা শিশুটিকে বৃৃহস্পতিবার সকালে বরিশাল আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুল হক জানান।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডাঃ  মাজেদুল হক কাওছার জানান, নির্যাতিতা শিশুটিকে বুধবার সন্ধ্যায় থানা পুলিশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিয়ে আসেন। শিশুটির যৌনাঙ্গে বার্নের কোন চিহ্ন নেই। তলপেটের নিচে ও যৌনাঙ্গে ওপরে পোড়ার (বার্ন) চিহ্ন দেখা গেছে।   বার্ন অনেকটা শুকিয়ে যাওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপত্র দিলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে শিশুটিকে নিয়ে পুলিশ চলে যায় বলে ডাঃ কাওছার জানান।

বিকেএস/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৯:১৫:৫০ ● ৪৮১ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ