ইন্দুরকানীতে টগড়া-কলারণ ফেরীঘাটে অসহনীয় যাত্রী দূর্ভোগ

প্রথম পাতা » পিরোজপুর » ইন্দুরকানীতে টগড়া-কলারণ ফেরীঘাটে অসহনীয় যাত্রী দূর্ভোগ
শুক্রবার ● ৪ সেপ্টেম্বর ২০২০


ইন্দুরকানীতে টগড়া-কলারণ ফেরীঘাটে অসহনীয় যাত্রী দূর্ভোগ

ইন্দুরকানী (পিরোজপুর) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে জোয়ারের পানিতে টগড়া ও কলারণ ফেরীঘাটে অসহনীয় যাত্রী দূর্ভোগ দেখা দিয়েছে। কলারণ ফেরীঘাটটি জোট সরকারে সময়ে উদ্বোধন হলেও পরবর্তীতে সিডরে বিধ্বস্ত হওয়ার পরে আর চালু হয়নি। কলরণ ফেরীঘাটের বর্তমান অবস্থা কোন ঘাট না থাকায় কাদা পানি একাকার হয়ে চলাচল করতে হয়। অথচ এই ঘাট থেকে বছরে লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব আয় হচ্ছে। এই ঘাট দুটি থেকে দৈনিক হাজার হাজার পর্যটক সহ পথচারী যাত্রী পারাপার হয়। কলারণ ঘাটে ফেরী যোগাযোগ বন্ধ থাকায় ঘাটে রাখা পল্টুনগুলো মাটির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে। এ ঘাটের মাধ্যমে সুন্দুরবনে ঘুরতে আসা পর্যটকরা বিভিন্ন ভোগান্তির শিকার হয়। ঘাট না থাকার কারণে শত শত লোক ট্রলারে নদী পারাপার হতে ৩কিলোমিটার পথ দ্বিগুন তিনগুন ভারা ও অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে মৃত্যু ঝুঁকির মধ্যে নিয়মিত পারাপার হচ্ছে। এছাড়াও দক্ষিন অঞ্চলের বৃহত্তর টগড়া ফেরীঘাট থেকে দক্ষিন অঞ্চলের সর্ববৃহৎ মৎস বন্দর পাথরঘাটা সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সড়ক পাথের গাড়িগুলো ফেরীতে চলাচল করে। এই ঘাটটি থেকে বরিশাল, খুলনা, যশোর, রাজশাহী, ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় জোগাযোগের একমাত্র পথ। এই ঘাট থেকে দৈনিক  হাজার হাজার ছাত্র/ছাত্রী সহ সাধারণ যাত্রী চলাচল করে। পাথরঘাটা মৎস বন্দরে বঙ্গোপসাগর থেকে শত শত মাছের ট্রলার অবতরণ করে। ঘাটের দূর্ভোগের কারণে অনেক ঝুকি নিয়ে যানবাহনগুলো ফেরীতে উঠানামা করে এবং প্রায়ই দূর্ঘটনা ঘটে।
দেখা যায়, কচা নদীতে জোয়ার আসলেই ফেরিঘাটটি তলিয়ে যায়, যার ফলে অনেক ঝুকি নিয়ে ঘাট অতিক্রম করতে হয়। ঘাট সংস্কারের অভাব, জোয়ারের স্রোত ও নদী ভাঙনের প্রতিরোধ ব্যবস্থা না থাকার কারণে এ দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়।
সরেজমিন পরিদর্শনে গেলে বাসের ড্রাইভার মতি জানায়, অনেক ঝুকি নিয়ে যাত্রী সহ বাসটি এই ঘাট থেকে উঠতে হয়। কোন রকম ত্রুটি হলেই বড় ধরণের দূর্ঘটনার শিকার হতে হয়। অনেক সময় জোয়ারের পানি বেশি থাকায় ইঞ্জিনে পানি ঢুকে বড় ধরণের যান্ত্রিক ত্রুটি হয়। কিছুদিন আগে টগড়া ফেরীঘাটের মেরামত হলেও জোয়ারে পানি বারলেই ভোগান্তির সীমা নেই।
ইন্দুরকানী উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড এম মতিউর রহমান জানান, কলারণ ও টগড়া ফেরীঘাট দুটি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ । কলারণ ঘাট থেকে সুন্দরবন, মোড়েরগঞ্জ, মংলা, শরনখোলা সহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করতে হয়। জরুরী ভিত্তিত্ত্বে ঘাটটি সংস্কার করে ফেরি চালু করার জন্য কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

এমএসকে/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৯:১৯:৩৪ ● ২৬৮ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ