নিয়োগে অনিয়ম! চরফ্যাশনে কলেজ অধ্যক্ষের এমপিও স্থগিত

প্রথম পাতা » ভোলা » নিয়োগে অনিয়ম! চরফ্যাশনে কলেজ অধ্যক্ষের এমপিও স্থগিত
শনিবার ● ২৭ জুন ২০২০


এটি একটি প্রতীকী ছবি।

চরফ্যাশন সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
চরফ্যাশন উপজেলার দুলারহাট আদর্শ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ এ কে এম শাহ আলম ওরফে খোকনের বিরুদ্ধে অযোগ্য প্রভাষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ৭ অদেশেও জবাব দেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে অধ্যক্ষের এমপিও স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সূত্রে জানা গেছে,  সমাজ বিজ্ঞানের প্রার্থী হয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির আলোকে ব্যাংক ড্রাফ্টের মাধ্যমে আবেদন করে স্বাক্ষাতকার বোর্ডে অংশ গ্রহণ করে নিয়োগ ও যোগদান করেছেন। ৭ মাস ক্লাস করেছেন। ওই প্রভাষকের বেতন ভাতা না করে চাকুরীর আবেদন ও স্বাক্ষাতকার বোর্ডে উপস্থিত না হয়ে একই পদে নুর উদ্দিন নামক জনৈক ব্যক্তির এমপিও হওয়ায় অভিযোগ করেন হাসনা হেনা। তিনি বিষয়টি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর আবেদন করেন। মহাপরিচালক প্রফেসর ড. এস এম অহিদুজ্জামানসহ অফিস থেকে ৭টি অদেশ দেয়া হয়। ওই আদেশের জবাব না দেয়ায় সর্বশেষ উক্ত অফিসের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তরের উপ-সচিব কামরুল হাসান ৩৭.০০.০০০০.০৭৪.০২৭.০০৯.২০১৭(খন্ড-১).৯৪ স্মারকে ১১ জুন/২০২০ দুলারহাট আদর্শ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ একে এম শাহে আলম ওরফে খোকনের এমপিও সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। এ ছাড়াও কলেজের সমাজ বিজ্ঞানের স্বাক্ষাতকার বোর্ডের প্রথম স্থান অর্জনকারী হাসনা হেনার নিয়োগ প্যার্টানের শূন্য পদের বিপরীতে ছিল কিনা। বিধিমোতাবেক তার নিয়োগ সঠিক ভাবে হয়েছিল কিনা। সে বিষয়ে মতামতসহ প্রতিবেদন প্রেরণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সমাজ বিজ্ঞানে প্রথম স্থান অর্জনকারী হাসনা হেনা সাগরকন্যাকে বলেন, চরফ্যাশন উপজেলার দুলারহাট আদর্শ কলেজের নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়ম হয়েছে বলে আমি মহাপরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অভিযোগ দাখিল করছি। নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেছি। আমাকে অধ্যক্ষ নিয়োগপত্র দিয়েছেন সে আলোকে আমি ১ ডিসেম্বার/২০১৬ তারিখে কলেজে যোগদান করি। ৭ মাস ক্লাস করার পর অধ্যক্ষ আমাকে ক্লাস করতে বাঁধা প্রদান করেন। আমাকে বাদ দিয়ে পেছন থেকে একজন প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে এবং তাকে এমপিওভূক্ত করা হয়েছে।
তিনি আরো অভিযোগ করেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে ১ম দফায় ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ২১ এপ্রিল অধ্যক্ষকে চিঠি দিয়ে নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজপত্র চাওয়া হয়। কিন্তু কাগজপত্র দেখাননি অধ্যক্ষ। পরে একই বছর ৫ নভেম্বর ফের নিযোগ সংক্রান্ত কাগজপত্র চেয়ে অধ্যক্ষকে চিঠি দেয় অধিদপ্তর। কিন্তু সে চিঠিরও কোনো জবাব দেননি তিনি। চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি থেকে এসব বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগকে জানানো হয়েছে।
অধ্যক্ষের এমপিও স্থগিত করার নির্দেশ দিয়ে স্থায়ীভাবে তার এমপিও কেন বন্ধ করা হবে না তা জানতে চেয়ে অধ্যক্ষকে জবাব দিতে বলেছে শিক্ষা অধিদপ্তর। কারণ দর্শানোর জবাব এর উপর অধিদপ্তর প্রতিবেদন তৈরি করে মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা বিভাগে পাঠাবে।
এ ব্যপারে চরফ্যাশনের দুলারহাট আদর্শ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ একে এম শাহে আলম খোকন শুক্রবার সাগরকন্যাকে বলেন, আমি বিষয়টি একটি অনালাইন পোর্টালে দেখেছি। তদন্তের সকল রিসিভ কপি আমার কাছে আছে। বিষয়টি ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে জানানো হয়েছে।

এমএএইচ/এনবি

বাংলাদেশ সময়: ১৯:৫৬:৩৮ ● ৭৫২ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ