চরফ্যাশনে ডিজিটাল ওজন পরিমাপক এখন প্রতারণার ফাঁদ!

প্রথম পাতা » ভোলা » চরফ্যাশনে ডিজিটাল ওজন পরিমাপক এখন প্রতারণার ফাঁদ!
বৃহস্পতিবার ● ২৫ জুন ২০২০


এটি একটি প্রতীকী ছবি।

চরফ্যাশন সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
চরফ্যাশন উপজেলার ব্যবসায়ীরা ডিজিটাল ওজন পরিমাপক মেশিন এখন ডিজিটাল প্রতারণার ফাঁদে পরিনত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই বিষয় প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেছেন ভূক্তভোগি ক্রেতাগণ।
চরফ্যাশন পৌর বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ডিজিটাল পরিমাপে এমন করে রাখা হয় যে  এক হাজার গ্রাম বা এক কেজিতে ৩/৪শ গ্রাম কম হয়। তাহলে ক্রেতাগণ যদি এক কেজি গরুর মাংশ ক্রয় করেন সে ৩০০ গ্রাম কম পাচ্ছেন। এই বিষয় প্রমাণ করেছেন চরফ্যাশন পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মুনিয়া হক। তিনি এককেজি মাংশ ক্রয় করেছেন পুরাতন লোহার কেজি দিয়ে মেপে ৪শ’ গ্রাম মাংশ কম হয়েছে বলে এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।
চরফ্যাশনে করোনার সময়ে ব্যবসা-বাণিজ্যে ক্রেতাদেরকে ঠকানো/ওজনে কম দেওয়ার প্রতারণা যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। মাছ, মাংশ, তরকারি নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি পরিমাপের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে ডিজিটাল ওজন পরিমাপক মেশিন (ওয়টে স্কেল)।
ক্রেতা মুনিয়া হকের অভিযোগ, যদিও দোকানদার বা বিক্রেতারা বলে থাকেন, এই মিটার পদ্ধতিতে ওজনে কম বেশি হওয়ার কোনোই ঝুঁকি নেই। অথচ এই যন্ত্রের মাধ্যমেই ওজনে কম দেয়ার সিস্টেম দিন দিন মাত্রাতিরিক্ত হারে বাড়ছে। ঠকানো হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাকে।
অনেক বিক্রেতারা ওজন পরিমাপক যন্ত্রের মধ্যে অসাধু সিস্টেম চালু করে রাখে যাতে করে ওজনে কম দেয়া যায়। তাদের এই কারচুপির কারণে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে ক্রেতারা। তিনি আরও বলেন, যেমন-দুই কেজি গরুর মাংশে ৪০০ গ্রাম কম দেয়া হয়। মুরগী গুলোর ওজন করার ক্ষেত্রেও একই অবস্থা।
এ ব্যপারে চরফ্যাশন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি প্রভাষক মনির উদ্দিন চাষী সাগরকন্যাকে বলেন, সকল বিষয়ে ডিজিটালের ব্যবস্থা হলেও চরফ্যাশন থেকে সনাতন পদ্ধতি উঠে যায়নি। অবশ্য মিটারে কম দেয়ার কোন সুযোগ নেই।
চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমীণ বলেন, কেউ মিটারের ওজনে কম দিলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এমএএইচ/এনবি

বাংলাদেশ সময়: ১৬:১৬:৫০ ● ৩৮৫ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ