বশেমুরবিপ্রবি ১৭ দফা দাবিতে উত্তাল ক্যাম্পাস

প্রথম পাতা » ঢাকা » বশেমুরবিপ্রবি ১৭ দফা দাবিতে উত্তাল ক্যাম্পাস
বুধবার ● ৬ নভেম্বর ২০১৯


বশেমুরবিপ্রবি ১৭ দফা দাবিতে উত্তাল ক্যাম্পাস

বশেমুরবিপ্রবি সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) এবার ১৭ দফা দাবিতে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (৬ নভেম্বর) সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা এই অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে মিছিল নিয়ে অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দিতে দেখা যায়।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের দায়িত্ব পালন করার সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মাত্রাতিরিক্ত হল ভাড়া, ক্রেডিট ফি, চিকিৎসা ফি আদায় করেছে এবং সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে। এসব মাত্রাতিরিক্ত ফির বিরুদ্ধে ও নানা অবকাঠামোগত উন্নয়নের দাবিতে শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি গ্রহণ করছে বলে জানান তারা।

১৭ দফা দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো হলো- ক্রেডিট ফি ১০০ টাকা থেকে ৫০ টাকা করতে হবে, হল ভাড়া রুমে ১৫০ টাকা ও গণরুমের ভাড়া প্রতি সিট প্রতি ২৫ টাকা করতে হবে। ক্লাস উপস্থিতি হার ৫০ শতাংশ করতে হবে এবং কোনো শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ৫০ শতাংশের কম হলে তাকে জরিমানা সাপেক্ষে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে, কেন্দ্র ফি ১০০ টাকা থেকে ৫০ টাকা করতে হবে, পরিবহন ফি ৬০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা করতে হবে, পরীক্ষায় ইমপ্রুভমেন্ট সিস্টেম চালু করতে হবে, বিভাগীয় উন্নয়ন ফি বাতিল করতে হবে, চিকিৎসা ফি ২২৫ টাকা থেকে ১০০ টাকা করতে হবে, প্রতি বিভাগে কমপক্ষে দুই জন নিয়মিত অধ্যাপক নিয়োগ দিতে হবে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা অবকাঠামোগত উন্নয়নের দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলরত শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ-আল-রাজু দৈনিক অধিকারকে জানান, শিক্ষা কোনো পণ্য নয় যে টাকা দিয়ে কিনতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যয় আসে দেশের সকল মানুষের কর থেকে। আমরা শোষণের শিকল ভেঙে স্বৈরাচারী খোন্দকার নাসিরউদ্দিনকে তাড়িয়েছি। আর কোনো অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ নয়। আমরা আর কোনো অতিরিক্ত ফি দেব না। আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করে যাব।

ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ড. মো. শাহাজাহান বলেন, শিক্ষার্থীরা আমাকে তাদের দাবিসমূহ লিখিত আকারে দিয়েছে এবং আমরা মনে করি তাদের অধিকাংশ দাবি যৌক্তিক। কিন্তু বেশ কিছু দাবি-দাওয়া আইনানুযায়ী আমার ক্ষমতার বাহিরে।

শিক্ষার্থীদের দাবিসমূহের মধ্যে অন্যতম দাবি ছিল- ক্রেডিট ফি কমানো, হলের ভাড়া কমানো, চিকিৎসা ফি কমানো। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য বলেন, তাদের এ দাবিসমূহ রিজেন্ট বোর্ডের সভার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে, কিন্তু আমি রুটিন দায়িত্বে থাকায় রিজেন্ট বোর্ডের সভা ডাকতে পারছি না, পূর্ণাঙ্গ উপাচার্য নিয়োগের আগ পর্যন্ত এ বিষয়গুলো মীমাংসা করা সম্ভব হচ্ছে না।

এ সময় শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাস পরীক্ষা চালিয়ে যেতে আহ্বান করেন তিনি। নতুন উপাচার্য আসলে ওই বিষয়গুলো সমাধান করা হবে বলে আশ্বাস দেন ড. মো. শাহাজাহান।

প্রসঙ্গত, গেল ২৮ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি, নারী কেলেঙ্কারি, ভর্তি বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অভিযোগে শিক্ষার্থীদের টানা আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিন


এসকে/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২০:৪৩:০৬ ● ৩৪৭ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ