হাজারও চাঁদাবাজ থাকতে শোভন-রাব্বানীকে নিয়ে মাতামাতি কেন: আলাল

প্রথম পাতা » রাজনীতি » হাজারও চাঁদাবাজ থাকতে শোভন-রাব্বানীকে নিয়ে মাতামাতি কেন: আলাল
বুধবার ● ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯


হাজারও চাঁদাবাজ থাকতে শোভন-রাব্বানীকে নিয়ে মাতামাতি কেন: আলাল

ঢাকা সাগরকন্যা অফিস॥

ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদককে বহিষ্কারের কথা উল্লেখ করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদক শোভন-রাব্বানীকে নিয়ে এত মাতামাতি কেন? তারাতো উন্নয়নের মহাসড়কের ওপর দিয়ে যে ট্রেন চলছে তার মাত্র দুজন প্যাসেঞ্জার। এই ট্রেনে যে আরও হাজার হাজার আওয়ামী লীগের ‘চোর, লুটেরা, ধর্ষণকারী, নারী নির্যাতনকারী ও চাঁদাবাজ’ বসে আছে, তাদের খোঁজে বের করবে কে? তিনি বলেন, যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলররা শোভন-রাব্বানীদের তৈরি করেছে, ছাত্রলীগকে তৈরি করেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই ভিসিদের জেলখানায় নেয়া হবে না কেন? শোভন-রাব্বানীকে কারাগারে নেয়া হবে না কেন? যদি না নেয়া হয় তাহলে বুঝতে হবে খালেদা জিয়া এবং বিএনপিকে নির্যাতন দমন করার জন্যই এই প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী নবীন দল নামক একটি সংগঠন আয়োজিত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সাবেক যুবদলের এই সভাপতি বলেন, গণতন্ত্রের মূর্ত প্রতীক খালেদা জিয়ার নেতৃত্বের ভয়ে, রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্য পূরণের জন্য দেশনেত্রীকে আটকে রাখা হয়েছে। তাকে মুক্ত করার ব্যবস্থা আমাদেরই করতে হবে।
আলাল বলেন, জিয়াউর রহমান যদি আওয়ামী লীগের নাম দয়া করে না দিতেন তাহলে শেখ হাসিনা আজ প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন না। এজন্য এই আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক পিতা হলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম। শেখ হাসিনার জন্মগত পিতা শেখ মুজিব হতে পারে, কিন্তু তার রাজনৈতিক পিতা জিয়াউর রহমান।
তিনি বলেন, শেখ মুজিব আওয়ামী লীগকে কবর দিয়ে বিলুপ্ত করে যান, রেখে যান বাকশাল। সেই বাকশাল থেকে জিয়াউর রহমানের অনুমতি নিয়ে আওয়ামী লীগ নতুন করে জন্ম নেয়। সেই আওয়ামী লীগের এত অধপতন হয়েছে, সেটা দেখলে জিয়াউর রহমান কষ্ট পেতেন।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ ও কৃষকদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ বক্তব্য দেন।

এফএন/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২০:০১:৫৩ ● ৩৬৮ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ