আমতলীতে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

প্রথম পাতা » বরগুনা » আমতলীতে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ
বুধবার ● ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯


আমতলীতে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ


আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

 

 

 

বরগুনার আমতলী সরকারী কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মোঃ মনিরুল ইসলাম (৪০) ও তার বৃদ্ধা মা সাফিয়া বেগমকে (৭০) চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেওয়া মিশুক বাসের সুপার ভাইজার জামাল মিয়ার বিচার দাবীতে আমতলীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করা হয়েছে।

উপজেলা নাগরিক ফোরামের উদ্যোগে বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসুচী পালন করা হয়।

জানাগেছে, আমতলী সরকারী কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মোঃ মনিরুল ইসলাম তার বৃদ্ধা মা সাফিয়া বেগমের চোখের চিকিৎসার উদ্দেশ্যে সোমবার সকালে পটুয়াখালী জন্য আমতলী বটতলা বাসের জন্য অপেক্ষা করছিল। কলাপাড়া থেকে ছেড়ে আসা মিশুক বাসটির সুপার ভাইজার জামাল মিয়া বাসে সিট আছে বলে তাদের ডেকে উঠান। কিন্তু ওই বাসে কোন সিট ছিল না। সিট না পেয়ে শিক্ষক তার অসুস্থ মাকে নিয়ে ওই বাসে যাবে না বলে জানান। এতে ক্ষেপে যায় বাসের সুপার ভাইজার জামাল মিয়া। এক পর্যায় আমতলী-পটুয়াখালী মহাসড়কের একে স্কুল নামক স্থানে চলন্ত বাস থেকে শিক্ষক মনিরুল ইসলাম ও তার মাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। এতে শিক্ষক মনিরুল ইসলামের পা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম এবং মা সাফিয়া বেগম আহত হয়।

এ ঘটনার বিচার দাবীতে উপজেলা নাগরিক ফোরামের উদ্যোগে বুধবার সকালে আমতলী সরকারী কলেজের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন ও বিক্ষোভ করা হয়। উপজেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি এ্যাড. এমএ কাদের মিয়ার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. শাহাবুদ্দিন পান্না, পৌর নাগরিক ফোরামের সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক মোঃ আবুল হোসেন বিশ্বাস, আমতলী সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মজিবুর রহমান, প্রভাষক আশশাকুজ্জামান ফিরোজ, আমতলী মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি অশোক কুমার মজুমদার, আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন সিকদার, আমতলী প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস সাইদ খোকন, আমতলী সরকারী কলেজের শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন ও পুজা দাশ প্রমুখ। মানববন্ধন শেষে কলেজের কয়েকশত শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক ও সুশীল সমাজের লোকজন পৌর শহরে বিক্ষোভ করে আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসাঃ মনিরা পারভীনের কাছে বাসের সুপার ভাইজার জামাল মিয়ার বিচার, বেপরোয়া গাড়ী চালানো ও যাত্রীদের সাথে অশোভন আচরন বন্ধের  দাবীতে স্বারকলিপি দেয়া হয়। বিক্ষোভ শেষে নাগরিক ফোরামের  নেতৃবৃন্দ বুধবারের মধ্যে এর বিচার না হলে আগামী রবিবার থেকে সংবাদ সম্মেলন, উপজেলা সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ কর্মসূচী, উপজেলার মহাসড়কে বিক্ষোভ ও অবরোধ এবং আধাবেলা হরতালসহ চার দিনের কর্মসূচী ঘোষনা করেছেন।

আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসাঃ মনিরা পারভীন বলেন, আমি তিনটি দাবী সম্মিলিত একটি স্বারকলিপি পেয়েছি। দাবী অনুসারে বাস গাড়ীর নেতৃবৃন্দকে ডেকে সমাধানের চেষ্টা করা হবে।

 

 

এমএইচকে/এমআর

 

 

বাংলাদেশ সময়: ২০:০০:৪৮ ● ৩৫৯ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ