বানারীপাড়ায় অবৈধ গর্ভপাত ও শিশু হত্যার ঘটনায় তোলপার

প্রথম পাতা » বরিশাল » বানারীপাড়ায় অবৈধ গর্ভপাত ও শিশু হত্যার ঘটনায় তোলপার
বৃহস্পতিবার ● ৪ জুলাই ২০১৯


বানারীপাড়ায় অবৈধ গর্ভপাত ও  শিশু হত্যার ঘটনায় তোলপার

বানারীপাড়া (বরিশাল) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

বানারীপাড়ায় স্কুল ছাত্রীর অবৈধ গর্ভপাত ও শিশু হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তোলপার সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, রোববার উপজেলার সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের আহম্মদাবাদ বেতাল গ্রামের এক স্কুল ছাত্রী (১৪) শারীরিক কারণে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে প্রতিবেশিদের সহায়তায় পরীবারের লোকজন তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এ সময় সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার ওই ছাত্রীকে শারীরিক ভাবে বিভিন্ন রকম পরীক্ষা-নিরিক্ষা করার পাশাপাশি প্যাথলজী টেষ্ট রিপোর্টের ভিত্তিতে ৭ মাসের গর্ভবতি বলে জানায়। খবর সুনে ওই ছাত্রীর সাথে থাকা একই এলাকার দুই নারী তাকে স্কুল ছাত্রীর গর্ভে থাকা সন্তান নষ্ট করার প্রস্তাব দেয়। তাদের দেয়া এ প্রস্তাবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত ওই ডাক্তার রাজি না হওয়ায় ওই দিনই তারা স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির পরামর্শ অনুযায়ী সেখান থেকে স্কুল ছাত্রীকে নিয়ে অন্যত্র সটকে পড়েন। পরে স্থানীয় দু’ই নারীর সহায়তায় উক্ত স্কুল ছাত্রীকে  অন্রত্র নিয়ে অভিজ্ঞ কোন লোক দ্বারা গর্ভপাত ঘটানোর পাশাপশি গর্ভের শিশুকে হত্যা করা হয়। এ বিষয়ে স্কুল ছাত্রীর নানী কহিনুর বেগম জানান, তার নাতনী (১৪) পাশর্^বর্তী সলিয়াবাকপুর ফজলুল হক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীতে লেখাপড়া করেন। প্রতিদিন সকাল ৭টায় স্কুলে গিয়ে পৃথক দু’টি প্রাইভেট পড়েন। এছাড়া পাশর্^বর্তী তার চার চাচাতো বোনের ছেলে রমজান মাঝে মধ্যে ওই ছাত্রীর কাছে পাঠ্যবই নিতে তার বাড়িতে আসতো। রোববার হটাৎ করে তার নাতনী পেটে ব্যাথায় অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে ডাক্তার দেখানোর জন্য প্রতিবেশি পাখি নামের এক নারীকে দিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। সেখানে নেয়ার পর কর্তব্যরত ডাক্তার সোনিয়া খানম তার নাতিকে পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে ৭ মাসের অন্তসত্যা বলে জানান। এ সময় তারা ওই ছাত্রীকে এ্যাভোশন (এমআর) করার প্রস্তাব দিলে ডাক্তার সোনিয়া খানম সেটি করা যাবেনা বলে তাদেরকে স্বাস্থ্য কম্পপ্লেক্স থেকে তারিয়ে দেন। পরে অঘটন এরানোর জন্য ওই দিন বিকেলে বাড়ি থেকে তার নাতনীকে নিয়ে মা-বাবার কাছে পৌছে দেয়ার জন্য লঞ্চযোগে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পথে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ দেখতে পান। কর্মক্ষেত্রে ওই ছাত্রীর মা-বাবা ঢাকার কামরাঙ্গির চরে বসবাস করার কারণে তাকে সেখানে নিয়ে যান। এ সময় ওই ছাত্রীর পিতা পুরো ঘটনা শুনে অসুস্থ্য মেয়েকে বেদম মারধর ও শাশুরী কহিনুর বেগমকে লাঞ্চিত করেন। পরে সেখানে তার নাতনীকে রেখে বাড়িতে চলে আসেন বলে নানী কহিনুর বেগম জানান। তবে কহিনুর বেগম তার নাতনীর অবৈধ গর্ভপাত ও শিশু হত্যার বিষয়ে মূখখুলতে না চাইলেও অবৈধ গর্ভের জন্য পাশর্^বর্তী চাচাতো বোনের ছেলে রমজানকে দায়ী করছেন। একই স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্র রমজান অবশ্য ওই ঘটনার সাথে জড়িত নন বলে দাবী করেছেন।
এদিকে স্কুল ছাত্রীর অবৈধ গর্ভপাত’র ওই ঘটনাটি এলাকায় চাউর হওয়ার পর স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল পুরো ঘটনাধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছেন। এ বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মো. খলিলুর রহমান কিছুই জানেন না বলে জানান।

জিএমআর/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২০:০৯:৪৩ ● ৪৫১ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ