
চরফ্যাশন (ভোলা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
চরফ্যাশনের দক্ষিণ আইচা থানার ওসি প্রধান অতিথি শিক্ষকদেরকে দাঁড় করিয়ে সংবর্ধণা নিলেন স্কুলের এডহক কমিটির সভাপতি। এ ঘটনা ঘটেছে বুধবার উপজেলার চরমানিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মিলনায়তনে। এই বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, ১৬এপ্রিল বুধবার বেলা ১১টায় চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানাধীন “উত্তর চরমানিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়’এর এডহক কমিটি ঘোষনা এবং সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.নুরুল আমীন। প্রধান অতিথি ছিলেন, দক্ষিণ আইচা থানার দায়িত্বরত ওসি এরশাদুল হক। অনুষ্ঠানের শিক্ষকদেরকে দাড় করিয়ে সংবর্ধনা হওয়ায় বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
বিদ্যালয়ের বয়স্ক সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. কবির হোসেন, সিনিয়র শিক্ষক গোলাম মোস্তাফা,মিজানুরর রহমান, ফিরোজ আলমসহ কয়েকজন শিক্ষক মন্ডলীদের দাঁড় করিয়ে রাখার ছবি ও ভিডিও ফেইসবুকে ভাইরাল হয়। সাবেক শ্ক্ষিার্থীর দাবী, অনুষ্ঠানে এমন কিছু লোকদের বসতে দেয়া হয়েছে যাদের কোন যোগ্যতা নেই । কিন্তু মানুষ গড়ার কারিগড় তারা ছিল দাড়িয়ে।
স্কুলের সাবেক ছাত্র ইঞ্জিনিয়র ছালাউদ্দিন বলেন, বিদ্যালয় সংবর্ধনার নামে শো-ডাউন করা হয়েছে। এবং সর্বজন শ্রদ্ধীয় বয়স্ক শিক্ষকদেরকে দাঁড় করিয়ে সংবর্ধনা সাবেক শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। আমরা ভবিষ্যতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন ঘটনা কামনা করিনা। আমরা এর বিচার দাবী করছি।
প্রধান শিক্ষক মো. নুরুল আমীন বলেন, জায়গায় কম থাকায় ২/১জন শিক্ষক দাঁড়িয়ে ছিল। অন্য কিছু না।
সহকারী প্রধান শিক্ষক কবির হোসেন বলেন, আমরা জায়গার সংকলনের জন্যে দাড়িয়ে থাকতে হয়েছে।
বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি নুরুল ইসলাম বলেন, অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিলেন প্রধান শিক্ষক। মেধাবী সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. কবির হোসেনসহ শিক্ষকগন সংবর্ধনা দাঁড়িয়ে থাকার বিষয়টি আমি কষ্ট পেয়েছি। ওই সময় মাথায় ছিলনা ফেইসবুকে আসার পর আমার খুবই খারাপ লাগছে।
দক্ষিণ আইচা থানার ওসি এরশাদুল হক বলেন, আমি স্টুডেন্ট কমিউনিটি পুলিশিংয়ের জন্যে গিয়েছিলাম। আমাকে প্রধান অতিথি করা হয়েছে। তাদের স্কুল তারা অতিথিদেরকে জায়গা দিবে এটাই স্বাভাবিক।
স্থানীয়রা সাবেক ছাত্রছাত্রীগন ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বিষয়টি জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দৃষ্টি কামনা করেছেন।
এএইচ/এমআর