নেছারাবাদ (পিরোজপুর) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
নেছারাবাদে ছেলের ও ছেলের স্ত্রীর বিরুদ্ধে বৃদ্ধ মা ফিরোজা বেগমকে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার আটঘর কুড়িয়ানা ইউনিয়নের পশ্চিম কুড়িয়ানা গ্রামে ঘটে ওই ঘটনা। ফিরোজা বেগম তার ৩ছেলে ও ৪মেয়ে নিয়ে চলছিল তার সংসার। বিগত ১২ বছর পূর্বে স্বামী মোঃ সুলতান হোসেনকে হারিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন সহ্য করে চলছে তার জীবন সংসার। খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাতে হয় ফিরোজা বেগমের। মেয়েদের বিয়ে দিলেও একই ঘরে তিন ছেলের বসবাস করলেও ঠিকমত জোটেনা তার ভরন পোষন, খোজ রাখেনা বড় ছেলে দেলোয়ার হোসেন। ঘর থেকে কোন কিছু খোয়া গেলে, খুজে না পেলে দোষ পরে মায়ের উপর বিনিময়ে সহ্য করতে হয় বড় দেলোয়ার নির্যাতন ও পুত্র বধুর অশ্লিল গালি-গালাজ। বাড়ীর কোন গাছ-পালা ফলা-ফলাদি ভোগ দখল করিতে দেয় না এবং প্রায়ই মারধর করে পিটিয়ে ঘর থেকে বের করে দেয়। চুরির অপবাদ দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এমনটাই বলছিলেন উপজেলার পশ্চিম কুড়িয়ানা গ্রামের মৃত মোঃ সুলতান হোসেন স্ত্রী বৃদ্ধ ফিরোজা বেগম। স্থানীয় পর্যায়ে কোন বিচার না পেয়ে অবশেষে বড় ছেলে ও ছেলের স্ত্রীর বিরুদ্ধে নেছারাবাদ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ফিরোজা বেগম।
অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, গত মঙ্গলবার বিকালে কুড়িয়ানা থেকে বাড়ীতে আসার সময় ছেলে দেলোয়ারের নার্সারির কান্দি থেকে তোলা শাক নিয়ে আসলে ছেলে দেলোয়ার পিছন পিছন আসিয়া মাকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ শুরু করে, পরে এলোপাথারি ভাবে কিল ঘুষি মারে এবং গলা চাপিয়া ধরিয়া কালভার্টের উপর পাছার মারে।
ঘটনার বিষয় মোঃ দেলোয়ার হোসেন মাকে মারধরের কথা শিকার করে বলেন, মায়ের চিকিৎসা করাতে গিয়ে আমি আনেক অর্থ খরচ করেছি। বিভিন্ন স্থানে ডাক্তার দেখিয়েছি। মা আমার কোন কথা শোনে না, ঘরের জিনিস পত্র, মালামাল নিয়ে অন্য ঘরে দিয়ে আসে তাই রাগের মাথায় মাকে দু-একটা কিল ঘুষি ও লাঠি দিয়ে দুটি পিটান দিয়েছি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য বিকাশ মন্ডল জানান, তাদের পারিবারিক বিভিন্ন সমস্যা আছে শুনছি, তবে আমাদের পরিষদে অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নিব।
এ বিষয়ে নেছারাবাদ থানার এস আই স্বপন চন্দ্র দে জানান, ঘটনার বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরএ/এমআর