কলাপাড়ায় মামলা প্রত্যাহার দাবিতে মানববন্ধন

প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » কলাপাড়ায় মামলা প্রত্যাহার দাবিতে মানববন্ধন
বৃহস্পতিবার ● ২৪ আগস্ট ২০২৩


কলাপাড়ায় মামলা প্রত্যাহার দাবিতে মানববন্ধন

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা অফিস॥

ঢাকায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃদ্ধ মন্নান মাতুব্বরের মৃত্যুতে দরিদ্র ও শ্রমজীবী পরিবারের আটজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করা হয়েছে। কলাপাড়ার বালিয়াতলী ইউনিয়নে এ ঘটনার প্রতিবাদে কয়েক শ’ নারী-পুরুষ বুধবার সন্ধ্যায় বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে। তারা এ মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
পারিবারিক বিরোধের জের ধরে গত ২১ মে সন্ধায় বালিয়াতলী ইউনিয়নের মজিবর হাওলাদারের সঙ্গে মন্নান মাতুব্বরের স্থানীয় বাজারে বসে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মন্নান মাতুব্বরকে স্থানীয় মানুষের সামনে প্লাস্টিকের চেয়ার দিয়ে পায়ে আঘাত করে মজিবর হাওলাদার। তাৎক্ষণিক উপস্থিত ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা বিবাদ মিটিয়ে দেন। মন্নান মাতুব্বরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
কিন্তু এ ঘটনার চারদিন পর মন্নান মাতুব্বরের মেয়ে সুমি আক্তার তার বাবাকে মারধরের অভিযোগে মজিবর হাওলাদারকে প্রধান করে ৯ জনের বিরুদ্ধে কলাপাড়া থানায় মামলা দায়ের করে। এ মামলায় ৬ আসামি হাজতবাসের পর জামিনে মুক্ত হন।
এদিকে  ৫ আগস্ট ঢাকায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মন্নান মাতুব্বর মারা যায়। এ ঘটনায় মৃত মন্নানের মেয়ে ১৩ আগস্ট ওই নয় আসামির নামে কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার প্রধান আসামি মজিবর রহমান বলেন, সামান্য বিষয় নিয়ে তর্কাতর্কিতে প্লাষ্টিকের একটি চেয়ার দিয়ে মন্নান মাতুব্বরের পায়ে কয়েকটি আঘাত করেছি। এসময় অনেক লোক উপস্থিত ছিলেন। তারাই মন্নানকে প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়েছেন। সুস্থ্য করেছেন। এ নিয়ে সালিশও হয়। চিকিৎসা খরচ বাবদ ৬০ হাজার টাকা ধার্য করা হয়। তারা ২০ হাজার টাকা নিয়েছেন। মন্নান মাতুব্বর বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হলেও এখন হত্যা মামলা করে গ্রামের নিরীহ মানুষকে প্রতিনিয়ত মামলায় জড়ানোর হুমকি দিচ্ছে।
গ্রামবাসীদের দাবি মন্নান মাতুব্বর কেন কিভাবে মারা গেছে এর একটি সঠিক তদন্ত তারাও দাবি করছেন। তারাও জানতে চান প্রকৃত মৃত্যুর ঘটনা। কিন্তু কেন নিরীহ গ্রামবাসীদের আসামী করে হয়রানী করা হচ্ছে। তারা এজন্য প্রশাসনের সঠিক তদন্ত ও হস্তক্ষেপ কামরা করছেন।
এ মামলার নয় নং সাক্ষী মৃত মন্নান মাতুব্বরের মেয়ে রুনা বেগম বলেন, তার বাবাকে মজিবর হাওলাদার যখন মারধর করে তখন মামলার আসামীরা তাকে না মারলেও তাকে রক্ষায় এগিয়ে আসেনি। তারা দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখেছে। এজন্য তাদের শিক্ষা দিতে আসামী করা হয়েছে।
লালুয়া ইউনিয়নের সাবেক দফাদার রেজাউল করিম বলেন, তিনি ঘটনার সময় পাশেই বসা ছিলেন। চেয়ার দিয়ে পায়ে কয়েকটি আঘাত করেছে মজিবর। আর কেউ সাথেও ছিলো না।
বালিয়াতলী ইউপি চেয়ারম্যান এবিএম হুমাযুন কবির বলেন, সামান্য বিষয় নিয়ে মারামারির পর তারা স্থানীয়ভাবে সালিশ করে সমাধান করে দিয়েছিলেন। মন্নান মাতুব্বরকে ক্ষতিপূরণের টাকাও দেয়া হয়েছে। কিন্তু কেন মামলায় নিরীহ গ্রামবাসীদের আসামী করে হয়রানী করা হচ্ছে বিষয়টি বুঝতে পারছেন না। তবে বিষয়টির সঠিক তদন্ত হওয়া উচিত বলে জানান।

এমইউএম/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২১:৪১:২২ ● ১৫৮ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ