চরফ্যাশন (ভোলা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার মেঘনা নদীর তীরবর্তী খেজুরগাছিয়া মিনি কক্সবাজার নাম খ্যাত এলাকায় এখন উপচে পড়া ভীড়। ঈদের ছুটিতে যানজট ও কোলাহল মুক্ত স্থান হিসেবে ভোলার বিভিন্ন স্থানের ভ্রমণ পিয়াসী দর্শনার্থীরা এখানে ছুঁটে এসেছেন । যার ফলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যেও এই খেজুরগাছিয়া মিনিকক্সবাজার এখন দর্শনার্থীদের পদচারণায় উৎসব মুখর অঞ্চলে ডিসিসিযা পরিণত হয়েছে।
সোমবার অফিস খোলা সময় বিকালে সরেজমিনে দেখাযায়, সকাল থেকে ভোলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে দর্শনার্থীরা দলে দলে আসতে থাকে মানুষের ঢল। বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা হতেই কানায় কানায় ভরে যায় খেজুরগাছিয়া এলাকা।
ঈদের বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে চরফ্যাশনের মিনি কক্সবাজার নামখ্যাত এই বিচকে বেছে নিয়েছে দর্শনার্থীরা। এতে ভোলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে ঘুরতে এসেছে পর্যটকরা। কেউবা পরিবার পরিজন, আবার কেউ প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে বিনোদন উপভোগ করতে এসেছে। যা পুরো এই মিনি কক্সবাজার নামখ্যাত এালাকা সৌন্দর্যময় করে তুলেছে।
যেখানে পর্যটকরা ফুটবল খেলে, কেউবা মেঘনার পানিতে গোসল করে তৃপ্তি মেটাচ্ছে। আবার কেউ প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে ছবি তুলেও আনন্দ উপভোগ করছে।
তবে দর্শনার্থীদের অভিযোগ এখানে নেই কোন বসার স্থান, ছাতা ছাউনি, হোটেল ও রেস্তেরাঁ। ঘুরতে আসা পর্যটক মহিববুল্লাহ বলেন, আমার জীবনে ৩ বার কক্সবাজার গিয়েছি আর এখানে এসে খেজুরগাছিয়াকেও ওই কক্সবাজারের মতোই লেগেছে।
পর্যটক জেসমিন আক্তার বলেন, এখানে এসে খুবই ভালো লেগেছে তবে এখানে বসার কোন জায়গা নেই। বসার জায়গা থাকলে আরো পর্যটক আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
ঘুরতে আসা পর্যটক ইসরাফিল নাঈম জানান, এখানে এসে আমি খুবই মনোমুগ্ধকর হয়েছি। তবে দুঃখের বিষয় এখানে নেই কোন বসার ছাতা ছাউনী এবং খাওয়ার হোটেল রেস্তোরা।
স্থানীয় যুবলীগ নেতা জয়নাল হাজারী জানান, খেজুরগাছিয়া মিনি কক্সবাজারের বিষয়ে ইউএনও স্যারকেসহ আমাদের ভোলা ৪ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব ভাইকে জানানো হয়েছে এবং তিনি আশ্বাস দিয়েছেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এই খেজুরগাছিয়াকে পুরোপুরি কক্সবাজারের মতো পরিনত করবে।
শশীভূষণ থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি ম. এনামুল হক বলেন, খেজুরগাছিয়া পর্যটন এলাকাটি আমাদেও সার্বিক নজরদারিতে রয়েছে। এবং কেউ পর্যটকদের বিরক্ত করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এএইচ/এমআর