আমতলীতে চাকুরিচ্যুত দুই শিক্ষকের টাকা ফেরতের নির্দেশ!

প্রথম পাতা » বরগুনা » আমতলীতে চাকুরিচ্যুত দুই শিক্ষকের টাকা ফেরতের নির্দেশ!
রবিবার ● ৪ জুন ২০২৩


আমতলীতে চাকুরিচ্যুত দুই শিক্ষকের টাকা ফেরতের নির্দেশ!

আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

বরগুনার আমতলী উপজেলার দুটি বিদ্যালয়ে মারিয়া জাহান ও তানজি রহমান নামে দুই শিক্ষক জাল সনদে চাকুরী নেয়ায় এনটিআরসি কর্তৃপক্ষ তাদের চাকুরীচ্যুত করে টাকা ফেরত দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এনটিআরসির সহকারী সচিব সেলিম সিকদার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ওই দুই শিক্ষককে এ নির্দেশ দেয়া হয়।
জানাগেছে, ২০১০ সালে মারিয়া জাহান উপজেলার চুনাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিষয়ে এনটিআরসির জাল সনদে চাকুরী নেন। চাকুরী নেয়ার পরপরই এমপিওভুক্ত হন তিনি। ২০১৬  সালে তিনি স্বেচ্ছায় চাকুরী ছেড়ে চলে যান। গত ছয় বছরে তিনি অবৈধভাবে সরকারী বেতন-ভাতা বাবদ পাঁচ লক্ষ ৯১ হাজার ৭৫০ টাকা ভোগ করেছেন। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অবৈধভাবে ভোগকৃত বেতন-ভাতার সমুদয় টাকা সরকারী কোষাগারে ফেরত দিতে তাকে উকিল নোটিশ দিয়েছেন বলে জানান প্রধান শিক্ষক মাহবুবুল আলম। কিন্তু তিনি গত ৮  বছরে ওই টাকা ফেরত দেয়নি। গত ১৮ মে এনটিআরসির সহকারী সচিব সেলিম সিকদার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তার সনদ জাল বলে ৪৪৪ ক্রমিককে সনাক্ত করেন। ওই চিঠিতে তাকে চাকুরীচ্যুত করে তার ভোগকৃত সমুদয় বেতন-ভাতা সরকারী কোষাগারে জমা  দেয়া এবং তার বিরুদ্ধে নিয়োগ কর্তৃপক্ষকে ফৌরদাজী আইনে মামলা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এদিকে মারিয়া জাহান ওই চাকুরী ছেড়ে বর্তমানে চাওড়া চন্দ্রা কারিগরি কলেজে সহকারী লাইব্রেরীয়ান পদে চাকুরী করছেন। ২০২১ সালে তিনি ওই পদে এমপিওভুক্ত হন। অপর দিকে ২০১৫ সালে ঘটখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে তানজি রহমান কম্পিউটার পদে চাকুরী নেন। তার সনদও জাল বলে এনটিআরসি সনাক্ত করেছে তার (ক্রমিক নং ৪৯৫) কিন্তু তিনি এমপিওভুক্ত নন।
এ বিষয়ে মারিয়া জাহান টাকা ফেরত দেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, সমস্যা ছিল বিধায় স্বেচ্ছায় চাকুরী থেকে পদত্যাগ করেছি। বর্তমানে আমি চাওড়া কারিগরি কলেজে সহকারী লাইব্রেরীয়ান পদে চাকুরী করছি।
ঘটখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম বলেন, চাকুরী নেয়ার পরপরই বেতন-ভাতা না হওয়ায় তানজি রহমান চাকুরী ছেড়ে চলে গেছেন।
চুনাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুবুল আলম বলেন, মারিয়া জাহানকে চাকুরীর টাকা ফেরত চেয়ে উকিল নোটিশ দেয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি এখনো টাকা ফেরত দেয়নি।
আমতলী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জিয়াউল হক মিলন বলেন, অধিদপ্তরের নির্দেশনা পাইনি। নির্দেশনা পাওয়া মাত্রই তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এমএইচকে/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২১:০০:০৮ ● ৯৬ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ