গলাচিপায় ভাঙ্গনের কবলে রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি!

প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » গলাচিপায় ভাঙ্গনের কবলে রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি!
বুধবার ● ২৬ এপ্রিল ২০২৩


গলাচিপায় ভাঙ্গনের কবলে রাস্তা ও ঘরবাড়ি!

গলাচিপা (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

পটুয়াখালীর গলাচিপায় বিকল্প ভেরিবাধের অভাবে রাস্তা ও ঘরবাড়ি নদীর গর্ভে চলে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন ডাকুয়া ইউনিয়নসহ উপজেলাবাসী। বুধবার (২৬ এপ্রিল) ডাকুয়া ইউনিয়ন ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
উপজেলার রামনাবাদ নদীর তীরের কোল ঘেসে গড়ে উঠেছে ডাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদ। যেখানে বসবাস করছে ক’য়েক হাজার জনসাধারণ। রয়েছে লাখো হেক্টের আবাদী ফসলী জমি, ঐতিহ্য বাহি একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, পুরনো জমিদার বাড়ি, মন্দির সহ বেঁচে থাকার একমাত্র কৃষিপণ্য পানের বরজ, মাছের ঘের, রবিশস্য, ধান সহ কর্মপ্রতিষ্ঠান। যা বর্তমানে প্রতিনিয়ত’ই রামনাবাদ নদীর গর্ভে চলে যাওয়ার অপেক্ষায় আছে। উপজেলা শহরের সাথে ডাকুয়া ইউনিয়ন যুক্ত করেছে চিকনিকান্দী, গজালিয়া, কমলাপুর, বগা, কালাইয়া, দশমিনাসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থানকে। কিন্তু বেশ কয়েক বছর ধরে বর্ষা মৌসুমে ক্রমাগত নদী ভাঙ্গনের ফলে বিলীন হয়ে যাচ্ছে এ ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, বাড়িঘর, ফসলিজমিসহ সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা। এ ছাড়া বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক মহাসচিব প্রয়াত সাংবাদিক আলতাফ মাহমুদ এর সমাধিস্থল সহ বিচ্ছিন্ন হয়ে পরবে সড়ক পথের যোগাযোগ ব্যবস্থা। ডাকুয়া এ ইউনিয়নে জরুরী ভিত্তিতে বিকল্প ভেরিবাধ তৈরি না হলে ভেঙ্গে যেতে পারে পরিবহন ব্যবস্থা। এ বিষয়ে আটখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও গলাচিপা প্রেস ক্লাবে সভাপতি সমিত কুমার দত্ত মলয় বলেন, অতি দ্রুত রাক্ষুসে রামনাবাদ নদী থেকে ডাকুয়া ইউনিয়নকে রক্ষা করা দরকার। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, মাননীয় সংসদ সদস্য এসএম শাহজাদা, জেলা প্রশাসক, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি কামনা করছি। এ বিষয়ে ডাকুয়া ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ রায় বলেন, আমার এই ইউনিয়নটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অবস্থানে অবস্থিত। যদি নদী ভাঙ্গন রোধ করা না হয় তাহলে অচিরেই বিলীন হবে জনসাধরণের ঘরবাড়িসহ রাস্তাঘাট। ইউএনও মহোদয়ের ভাঙ্গণ কবলিত এলাকায় ১ হাজার জিও ব্যাগ ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পটুয়াখালী জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফ হোসেন মুঠোফোনে জানান, উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে ২ কোটি টাকার কাজের বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল জানান, ভাঙ্গণ কবলিত এলাকার জায়গাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের সাথে বিষয়টি গুরুত্ব সহাকারে আলোচনা করা হচ্ছে। সেখানে দ্রুত ভাঙ্গণ রোধে আপদকালীন ১ হাজার জিও ব্যাগের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এসডি/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২৩:৫০:৫৪ ● ৬৪ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ