কাশিয়ানীতে অপহৃত স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার দাবি

প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ » কাশিয়ানীতে অপহৃত স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার দাবি
মঙ্গলবার ● ২৮ মার্চ ২০২৩


কাশিয়ানীতে অপহৃত স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার দাবি

গোপালগঞ্জ সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলায় অপহৃত এসএসসি পরিক্ষার্থীনীকে উদ্ধার দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পিতা  দিপক রায়। অপহৃত এসএসসি পরিক্ষার্থী কাশিয়ানী উপজেলার পোনা গ্রামের দিপক রায়ের কন্যা।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) সকাল ১০টায় গোপালগঞ্জ জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে অপহৃত শিক্ষার্থীর পিতা দিপক রায়।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন,  আমি সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রাদায়েরর লোক। আসামীগণ মুসলিম সম্প্রদালের লোক। আমার কন্যা বৈশাখী রায়ের জন্ম নিবন্ধন অনুযায়ী তাহার বযয়স ১৫ বছর। আমার মেয়ে এম.এ খালেক উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০২৩ সালের এস,এস,সি পরীক্ষা। অন্যান্য দিনের  মত আমার মেয়ে ঘটনার দিন সকাল ১০টায় সময় প্রাইভেট শিক্ষকের নিকট পড়তে যাওয়ার পথে পোনা সার্বজনীন দূর্গা মন্দিরের উত্তর পাশ থেকে জঙ্গল মুকুন্দপুর গ্রামের রফিক মল্লিকের ছেলে আর রহমান মল্লিক ও তার সঙ্গীয় আহাদুল মল্লিক, আহাদুল মল্লিকের স্ত্রী সুমি বেগম , পোনা গ্রামের খোরশোদ মোল্যার ছেলে আলম মোল্যা, জাট্রিগ্রামের কাওসার মোল্যার ছেলে বিল্লার মোল্যা ও বিল্লাল মোল্যার স্ত্রী ময়না বেগম আমার মেয়েকে জোর পূর্বক সাদা রঙ্গের একটি মাইক্রবাসে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে আমি কাশিয়ানী থানায় মামলা করতে গেলে থানা আমার মামলা নেয়নি। উল্টা আমাকে পেনডিং মামলা দেওয়ার হুমকি দেয় থানার ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তা। পরে আমি বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। মামলাটি পিবিআই পুলিশের কাছে তদন্তের জন্য পাঠায় বিজ্ঞ আদালত।  আজ ১মাস ৬দিন পার হয়ে গেলেও কাশিয়ানী  থানা পুলিশ ও পিবিআই পুলিশ আমার মেয়েকে উদ্ধারের কোন ব্যাবস্থা নেয়নি। আমার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের এসআই হিমানিশ বিশ্বাস আমাকে বলে তিন মাস পরে এসে যোগাযোগ করবেন। মামলার প্রতিদেন দিতে আমার তিন মাস সময় লাগবে। আমি একজন অপহৃত কন্যার অসহায় পিতা। আমি আমার মেয়ে উদ্ধারের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও প্রসাশনের উদ্ধর্তন কর্মকর্তার সহযোগীতা কামনা করছি।
পিবিআই পুলিশের মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হিমানিশ বিশ্বাস বলেন, ভিকটিম উদ্ধারের চেষ্টা চলছে, মোবাইল ট্রাকিং করে পাওয়া গেছে তারা ঢাকায় আছে। পরে আর দেখা হয়নি। যদি আমরা ভিকটিম উদ্ধার করতে না পারি তাহলে আমি ৩মাসের মধ্যে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন বিজ্ঞ আদালতে দাখিল করবো বলে বাদীকে জানিয়েছি।
কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ আলম বলেন, দিপক রায় আমাদের কাছে আসলে অভিযোগটি নিয়ে একজন আইও দিয়ে তদন্ত করে দেখা হয় তার মেয়ে প্রেম করে চলে গেছে। এরই মধ্যে তিনি আদালতে মামলা করেছেন। একই ঘটনায় দুইটা মামলা হয়না। পরে আমরা আর মামলা নেইনি। দিপক রায়কে পেনডিং মামলা দিয়ে চালান দেওয়ার অভিযোগটি সম্পূন্ন মিথ্য ও ভিত্তিহীন।

এইচবি/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২২:১৭:৫১ ● ১৪৯ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ