কিশোরগঞ্জে পাগলা মসজিদের দানবাক্সে তিন মাসে কোটি টাকা

প্রথম পাতা » ইসলামী জীবন » কিশোরগঞ্জে পাগলা মসজিদের দানবাক্সে তিন মাসে কোটি টাকা
শনিবার ● ১৯ জানুয়ারী ২০১৯


কিশোরগঞ্জে পাগলা মসজিদের দানবাক্সে তিন মাসে কোটি টাকা

কিশোরগঞ্জ সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স তিন মাস ছয়দিন পর আবারও খোলা হয়েছে। এবার দানবাক্স খুলে ১ কোটি ১৩ লাখ ৩৩ হাজার ৪৭৩ টাকা পাওয়া গেছে। এছাড়াও পাওয়া গেছে সোনা, রূপা ও বৈদেশিক মুদ্রা।
শনিবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে দানবাক্সটি খোলা হয়। দানবাক্স খোলার পর টাকাগুলো প্রথমে বস্তায় ভরা হয়। এরপর শুরু হয় দিনব্যাপী টাকা গণনার কাজ। বিকেলে গণনা শেষে দানের এ টাকার হিসাব পাওয়া যায়। টাকা গণনার কাজ তদারকি করেন কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান এর তত্ত্বাবধানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজির হোসেন, মো. শরীফুল আলম ও সাগুফতা হকসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা, মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য ও সার্বক্ষণিক দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান জানান, তিন মাস পরপর মসজিদের দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এবার তিন মাস ছয়দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। পরে টাকাগুলো গুনে নগদ ১ কোটি ১৩ লাখ ৩৩ হাজার ৪৭৩ টাকা পাওয়া যায়। তিনি আরও জানান, এই মসজিদের যখন দানবাক্স খোলা হয়, তখন সাধারণত এক কোটি টাকার কাছাকাছি পাওয়া যায়। এবারও ১ কোটি টাকার উপরে পাওয়া গেছে। টাকাগুলো রূপালী ব্যাংকে জমা রাখা হয়েছে। আর যে স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে তা আগের স্বর্ণালঙ্কারের সঙ্গে যোগ করে সিন্দুকে রেখে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও দানে পাওয়া গবাদীপশু ছাগল, হাস-মুরগি প্রতি সপ্তাহেই নির্ধারিত দিনে নিলামে বিক্রি করা হয়। সর্বশেষ গেল বছরের ১৩ অক্টোবর মসজিদের দানবাক্স খুলে গণনা করে ১ কোটি ১৩ লাখ ৯৬ হাজার ৬৮৫ টাকা পাওয়া যায় বলেও জানান তিনি।
কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পশ্চিম প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে আনুমানিক চার একর জায়গায় ‘পাগলা মসজিদ ইসলামি কমপ্লেক্স’ অবস্থিত। প্রায় আড়াইশ বছর আগে মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয় বলে ইতিহাস সূত্রে জানা যায়। এই মসজিদের প্রতিষ্ঠা নিয়ে অনেক কাহিনি প্রচলিত আছে, যা ভক্ত ও মুসল্লিদের আকর্ষণ করে। সাধারণ মানুষের মধ্যে বিশ্বাস রয়েছে, এখানে মানত করলে মনোবাসনা পূর্ণ হয়। আর এ কারণেই মূলত দূর-দূরান্তের মানুষও এখানে মানত করতে আসেন। দানবাক্সে পাওয়া টাকা সাধারণত কমিটি, জনপ্রতিনিধি ও দায়িত্বশীলদের পরামর্শে বিভিন্ন মসজিদে দান-খয়রাত, মাদ্রাসার উন্নয়ন ও জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় হয়ে থাকে।

এফএন/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৬:৫৭:০৫ ● ৬৯৫ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ