আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
চতুর্থ বিয়েতে বাঁধা দেয়ার বিয়ে পাগল বাবা শহীদুল ইসলাম মুন্সি পিটিয়ে ছেলে হিরন মুন্সির ডান হাত ভেঙ্গে দিয়েছেন। আহত ছেলেকে স্বজনরা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভাির্ত করেছে। ঘটনা ঘটেছে রবিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে আমতলী উপজেলার নাচনাপাড়া গ্রামে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানাগেছে, ২৫ বছর পুর্বে উপজেলার নাচনাপাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম মুন্সির সাথে কহিনুর বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের ২৫ বছরে ওই দম্পতির তিন সন্তান রয়েছে। আছে নাতি ও নাতনি। কিন্তু গত পাঁচ বছর পুর্বে শহীদুল মুন্সি দ্বিতীয় বিয়ে করেন। ওই বিয়ে বেশী দিন টিকেনি। গত দুই বছর আগে আবার তৃতীয় বিয়ে করেন। এক বছরের মাথায় তৃতীয় স্ত্রীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। বর্তমানে তিনি চতুর্থ বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। রবিবার রাতে চতুর্থ বিয়ের জন্য প্রথম স্ত্রী কহিনুরের সম্মতি চায়। এতে বাঁধ সাধে স্ত্রী ও ছেলে। চতুর্থ বিয়েতে বাঁধ সাধায় ক্ষিপ্ত হয়ে শহীদুল মুন্সি ছেলে হিরন মুন্সিকে পিটিয়ে ডান হাত ভেঙ্গে দিয়েছেন। ছেলেকে রক্ষায় মা কহিনুর বেগম এগিয়ে গেলে তাকেও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। ওই রাতেই স্বজনরা ছেলে হিরন মুন্সি ও মা কহিনুরকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।
আহত ছেলে হিরন মুন্সি বলেন, বাবা তিনটি বিয়ে করেছে। আবার চতুর্থ বিয়ে করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমি ও মা এতে বাঁধা দেওয়ায় আমাকে পিটিয়ে ডান হাত ভেঙ্গে দিয়েছে এবং মাকে অনেক মারধর করেছে।
প্রথম স্ত্রী কহিনুর বেগম বলেন, মান ইজ্জত আর রইলো না। নাতি-নাতনির মধ্যে স্বামী একের পর এক বিয়ে করছে। চতুর্থ বিয়েতে রাজি না হওয়ায় আমাকে মারধর করেছে। ছেলেকে পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দিয়েছে।
শহীদুল ইসলাম মুন্সি বলেন, ছেলে হিরন মুখে মুখে তর্ক করায় কয়েকটি চর থাপ্পর মেরেছি।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ সমুন খন্দকার বলেন, মা ও ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
আমতলী থানার ওসি একেএম মিজানুর রহমান বলেন, অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমএইচকে/এমআর