বরগুনা জেলা পরিষদে জাকিয়া এলিচ’র মনোনয়ন দাবি

প্রথম পাতা » বরগুনা » বরগুনা জেলা পরিষদে জাকিয়া এলিচ’র মনোনয়ন দাবি
রবিবার ● ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২


বরগুনা জেলা পরিষদে জাকিয়া এলিচ’র মনোনয়ন দাবি

আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

সাবেক সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম নিজাম উদ্দিন তালুকদারের সহধর্মীনি জাকির এলিচকে বরগুনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দেয়ার দাবী দক্ষিণাঞ্চল তথা উপকুলীয় আমতলী-তালতলীসহ তথা গোটা বরগুনা বাসির। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এমন দাবী সাধারণ মানুষের। তিনি (এলিচ) মনোনয়ন পেলে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে অবহেলিত আমতলী-তালতলী তথা গোটা বরগুনা বাসির উন্নয়নের প্রত্যাশা পূরণ হবে।
জানাগেছে, দক্ষিনাঞ্চলের রাজনৈতিক খুরধর মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বলিয়ান মরহুম নিজাম উদ্দিন তালুকদার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে রাজনীতির হাতে খড়ি। বঙ্গবন্ধু একান্ত আস্থাভাজন হিসেবে ১৯৭৩ সালে আমতলী-কলাপাড়া আসন থেকে মাত্র ২৫ বছর বয়সে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, সৎ, ন্যায় ও নিষ্ঠায় অল্প দিনের মধ্যে হয়ে উঠেন দক্ষিণাঞ্চলের গণ মানুষের নয়নের মনি। ১৯৮৬ সালে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেয়ে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। গড়ে তুলেন মানুষের মধ্যে ভালবাসায় দেয়াল। দক্ষিণ বাংলার জয়প্রিয় নেতা নিজাম উদ্দিন তালুকদার তৎকালিন সময় আমতলী- কলাপাড়া- তালতলী উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছেন। একাধিকবার বরগুনা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ছিলেন। কিন্তু ১৯৯০ সালের ৯ ডিসেম্বর ঢাকা ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউটের সামনে মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হন। নেমে আসে দক্ষিণাঞ্চলের গণমানুষের মাঝে শোকের ছায়া। তার মৃত্যুতে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ হারিয়ে ফেলে একজন নির্ভরযোগ্য অভিভাবককে। নেতৃত্বশুন্য হয়ে পরে দক্ষিণাঞ্চল। স্বামীকে হারিয়ে একা হয়ে পরেন তার জায়া জাকিয়া এলিচ। তিন ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে অতি দুঃখে দিনাতিপাত করেন তিনি। স্বামী সাংসদকে হারিয়ে ওই সময় থেকেই তিনি আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে পরেন। কিন্তু দীর্ঘ ৩২ বছর রাজনৈতিক জীবনে তিনি কিছুই পায়নি কিন্তু হাল ছাড়েননি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া আওয়ামীলীগই তার শেষ ঠিকানা। দলের সকল কার্যক্রমে তিনি সক্রিয় ভুমিকা পালন করে যাচ্ছেন। যখন যে দায়িত্ব পেয়েছেন তখন তিনি তা সুচারুভাবে পালন করেছেন। স্বামী সাবেক সাংসদ নিজাম উদ্দিন তালুকদারের রাজনৈতিক সহচর ছিলেন জাকিয়া এলিচ। স্বামীর মৃত্যুর পরে বিএনপি-জামাতের  দূঃশাসন বিরোধী আন্দোলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে থেকে লড়াকু হুমিকা পালন করেছেন। কোন দিনই তিনি পিছু হাটেননি এবং অন্য রাজনৈতিক দলের সাথে আতাত করেনি। এতকিছুর পরেও তিনি বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের কোন উচ্চ পদে আসিন হতে পারেননি। চায়নি কোন দলীয় পদমর্যাদা। সাবেক সাংসদ মরহুম নিজাম উদ্দিন তালুকদারের সহধর্মীনি হিসেবে সরকারের উচ্চ পদে আসিনের দাবী দক্ষিণাঞ্চলের লক্ষ মানুষের। উপকুলীয় আমতলী-তালতলীসহ গোটা বরগুনার সাধারণ মানুষের দাবী প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা মরহুম নিজাম উদ্দিন তালুকদারের দলের অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ তার স্ত্রী জাকিয়া এলিচকে বরগুনা জেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দেয়ার। তিনি জেলা পরিষদের মনোনয়ন পেলে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী আসন অবহেলিত উপকুলীয় অঞ্চল আমতলী-তালতলীসহ গোটা বরগুনার উন্নয়নের ¯্রােতধারা আরো ত্বরান্নিত করবে।
সোহেল রানা, জালাল আকন ও ইসহাক হাওলাদার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দক্ষিণাঞ্চলের গণমানুষের জনপ্রিয় নেতা মরহুম নিজাম উদ্দিন তালুকদারের স্ত্রী জাকিয়া এলিচকে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দিলে তিনি অবহেলিত আমতলী-তালতলীসহ গোটা বরগুনার উন্নয়নে গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা পালন করবে।
মরহুম সাংসদ নিজাম উদ্দিন তালুকদারের সহধর্মীনি মোসাঃ জাকিয়া এলিচ বলেন, সাবেক সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মরহুম নিজাম উদ্দিন তালুকদারের মৃত্যুর পরে আমি সক্রিয়ভাবে আওয়ামীলীগ রাজনীতির সাথে জড়িত। আওয়ামীলীগের সকল আন্দোলন সংগ্রামে আমি সক্রিয় হয়ে কাজ করেছি। ৩২ বছরের রাজনৈতিক জীবনে আমি দলের কিছুই পাইনি। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে বরগুনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মনোনয়ন দিলে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আমার স্বামী মরহুম নিজাম উদ্দিন তালুকদারের স্বপ্ন পুরনে কাজ করবো।

এমএইচকে/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২২:৩০:২০ ● ১৫০ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ