পূর্ণিমার জোঁর প্রভাবতালতলীতে বেরিবাঁধ ভেঙ্গে ৮ গ্রাম প্লাবিত

প্রথম পাতা » বরগুনা » পূর্ণিমার জোঁর প্রভাবতালতলীতে বেরিবাঁধ ভেঙ্গে ৮ গ্রাম প্লাবিত
বুধবার ● ১৩ জুলাই ২০২২


তালতলীতে বেরিবাঁধ ভেঙ্গে ৮ গ্রাম প্লাবিত

আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

 

পূর্ণিমার জোঁর প্রভাবে জোয়ারের পানিতে তেঁতুলবাড়িয়া বাঁধ ভেঙ্গে তালতলীর ৮ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেলে ঘর বাড়ী  এবং শতাধিক মাছের ঘের ও পুকুর।  আমতলী পায়রা নদীর ফেরির গ্যাংওয়ে তলিয়ে যানবাহন ও মানুষ চলাচলে বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে।
জানাগেছে, পূর্ণিমার জোঁর প্রভাবে পায়রা নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২০ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে উপকুলী অঞ্চল আমতলী ও তালতলীর চর ও নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পায়রা নদী সংলগ্ন তেঁতুলবাড়িয়া এলাকার ১৫০ মিটার বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ভেঙ্গে তালতলীর ৮ গ্রাম পানিতে তলিয়ে অন্তত শতাধিক ঘের ও পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। এতে অন্তত দুই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী করেন ক্ষতিগ্রস্থ জসিম উদ্দিন হাওলাদার, শাহাজাহান প্যাদা ও আলম হাওলাদার। এছাড়া বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের বাইরে বসবাসরত মানুষের ঘরবাড়ী তলিয়ে যাওয়ায় তারা অতিকষ্টে জীবনযাপন করছে। এদিকে জোয়ারের পানিতে বালিয়াতলী, পশুরবুনিয়া, আড়পাঙ্গাশিয়া, পশ্চিম ঘটখালী, গুলিশাখালী ও হরিদ্রবাড়িয়া এলাকার পায়রা সংলগ্ন বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ঝুঁকিতে রয়েছে। বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ না থাকায় গাজীপুর বন্দর জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে বলে জানান ব্যবসায়ী সোহেল রানা। অপর দিকে আমতলী পায়রা নদীর ফেরির গ্যাংওয়ে তলিয়ে যাওয়ায় যানবাহন ও মানুষের চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। মানুষ হাটু পরিমান পানি ডিঙ্গিয়ে সড়কে উঠছে। দ্রুত পায়রা ফেরির গ্যাংওয়ে সংস্কারের দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
খোজ নিয়ে জানাগেছে, তালতলীর নিশানবাড়িয়া, ফকিরহাট, সোনাকাটা, নিদ্রাসকিনা, তেতুঁলবাড়িয়া, আশার চর,নলবুনিয়া, তালুকদারপাড়া, চরপাড়া, গাবতলী, মৌপাড়া, ছোটবগী, জয়ালভাঙ্গা,পচাঁকোড়ালিয়া ও আমতলীর ঘোপখালী, বালিয়াতলী, পশুরবুনিয়া, আড়পাঙ্গাশিয়া, পশ্চিম আমতলী, ফেরীঘাট, পুরাতন লঞ্চঘাট, আমুয়ার চর, পানি উন্নয়ন বোর্ড, আঙ্গুরকাটা, গুলিশাখালী ও হরিদ্রবাড়িয়া নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ঘর বাড়ী পানিতে তলিয়ে গেছে।
বুধবার দুপুরে আমতলী পায়রা ফেরিঘাট এলাকা সরেজমিনে ঘুরে দেখাগেছে, পায়রা ফেরির গ্যাংওয়ে পানিতে তলিয়ে গেছে। মানুষ হাটু পরিমান পানি ডিঙ্গিয়ে সড়কে উঠছেন। যানবাহন চলাচলে সমস্যা হচ্ছে।
লেমুয়া গ্রামের ইসহাক হাওলাদার বলেন, পূর্ণিমার জোঁতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে পায়রা নদী সংলগ্ন চর ও নিমাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। চরে বসবাসরত মানুষরা উচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।
গাবতলী আবাসনের জহিরুল ইসলাম বলেন, পানতে ঘর তলাইয়্যা গ্যাছে। গুড়াগারা লইয়্যা কষ্ট হরি।
পায়রা ফেরিঘাটের পরিচালক হাসান মিয়া বলেন, জোয়ারের পানিতে ফেরির গ্যাংওয়ে তলিয়ে যাওয়ায় যানবাহন ও মানুষ চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। দ্রুত ফেরির গ্যাংওয়ে সংস্কার করা জরুরী।
আমতলী গেইজ রিডার আবুল কালাম আজাদ বলেন, পায়রা নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২০ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী  আমিনুল ইসলাম সোহাগ বলেন, তালতলীর তেঁতুলবাড়িয়া এলাকার ভাঙ্গা বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ দ্রুত সংস্কার করা হবে।

এমএইচকে/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২৩:২৮:৫৯ ● ১৯৭ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ