গলাচিপায় ঈদে বাড়ছে সু-মেকার শন্তু দাসদের ব্যস্ততা!

প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » গলাচিপায় ঈদে বাড়ছে সু-মেকার শন্তু দাসদের ব্যস্ততা!
শুক্রবার ● ২৯ এপ্রিল ২০২২


গলাচিপায় ঈদে বাড়ছে সু-মেকার শন্তু দাসদের ব্যস্ততা!

দশমিনা (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

 

 

আসছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। এ সময়টাতে বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা বেচাবিক্রিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সেই সাথে ব্যস্ত  হয়ে পড়েছেন পটুয়াখালীর দশমিনায় শন্তুদাসরা। গত দুই বছর প্রাণঘাতী করোনার কারণে বন্ধ ছিলো সবকিছু। করোনার প্রভাব কাটিয়ে অনেকটা ভাল আছেন নি¤œ আয়ের এসব শন্তুদাসরা।

শুক্রবার সকালে উপজেলার সদররোড মোড়, চেয়ারম্যান মার্কেটের সামনে ও বাজার ঘুরে দেখা যায়, রাস্তার পাশে চট বিছিয়ে তার উপর বড় একটি কাঠের বাক্স রাখা। এই চট বসে মানুষের জুতা সেলাই করছেন শন্তুদাসরা। সেখানে জুতা সেলাই ও রং পলিশ করার সকল সরঞ্জাম সাজানো রয়েছে। আপন মনে অন্যের ছেঁড়া জুতা সেলাই করছেন তারা। বিভিন্ন রং ব্রাশ দিয়ে সযতেœ পালিশ করছেন শন্তুদাসরা। বিভিন্ন জুতা সেলাই ১৫ থেকে ২০টাকা আর রং পালিশ করা ২৫ থেকে ৩০ টাকা।

গত দুই বছর করোনার কারণে এসব নি¤œ আয়ের মানুষগুলো দোকান খুলতে পারেনি। অনেক কষ্টে করে চালিয়েছে সংসার। গত দুই বছরের কোন কাজ করতে পারেননি তারা। বর্তমান করোনা প্রভাব নেই, চলছে সবকিছু স্বাভাবিক মতো। সামনে ঈদ, কাজের অর্ডার পাচ্ছেন বেশি শন্তুদাসরা। সারাদিনে তারা ২৫০ থেকে ৩০০ টাকার কাজ করছেন।

উপজেলা সদর ইউনিয়নের শন্তু দাস বলেন, বর্তমান অনেক ভাল আছি, কাজ পাচ্ছি ভাল। জুতা সেলাই ও রং করার পাশাপাশি মানুষের নতুন জুতা তৈরি করে দিচ্ছি। এতে আমার ভাল লাভ হচ্ছে। তবে গত দুই বছরের লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারিনি।

অপরদিকে, শস্তু দাসের মত সিদাম দাস, মো. রেজাউল হোসেন, মো. মাহবুব গাজী ও মো. হানিফ সরদার দীর্ঘদিন থেকে এ পেশার সাথে জড়িত রয়েছে। বর্তমানে টুকটাক কাজ সবাই পাচ্ছি। সারাদিনে যা হয় তাতেই খুশি। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করি তাতে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকার কাজ হয়।

দশমিনা বাজারের সিদাম দাস বলেন, আমরা প্রায় ১৫ জন মতো আছি। সবাই এ কাজের সাথে জড়িয়ে আছি। তবে অন্য পোশার লোক এসে বর্তমানে আমাদের পেশায় যোগ হয়েছে।

মো. মাহবুব গাজী বলেন, গত করোনায় আমাদের কাজ ছিলো না। বর্তমান করোনা নেই, বেশি কাজ পাচ্ছি। ছেলে মেয়েদের নিয়ে ভাল আছি।

 

 

এসবি/এমআর

 

বাংলাদেশ সময়: ২২:৩৭:২১ ● ২৫৯ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ