আমতলীতে হাফেজি মাদ্রাসার পরিচালকের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ

প্রথম পাতা » বরগুনা » আমতলীতে হাফেজি মাদ্রাসার পরিচালকের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ
বৃহস্পতিবার ● ১ জুলাই ২০২১


আমতলীতে হাফেজি মাদ্রাসার পরিচালকের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ

আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

মাদ্রাসার পরিচালক হাফেজ আব্দুল আউয়ালের শাস্তির দাবীতে এলাকাবাসী বিক্ষোভ করেছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে এ বিক্ষোভ করা হয়। এ বিক্ষোভে এলাকার অর্ধশত মানুষ অংশ নেয়। ওইদিনই তার শাস্তির দাবীতে সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার একে এম সামসুদ্দিন শানু এলাকাবাসীর পক্ষে আমতলী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
জানাগেছে, ২০১৯ সালে হাফেজ আব্দুল আউয়াল আমতলী পৌর শহরের সবুজবাগ এলাকায় তাহফিজুল কোরান ক্যাডেট মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। ওই মাদ্রাসায় শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। ওই মাদ্রাসায় পুরুষ হাফেজের পাশাপাশি নিয়োগ দেন একজন নারী। ওই নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন হাফেজ আব্দুল আউয়াল। বিষয়টি সংশোধনের জন্য অভিভাবক ও স্থানীয়রা হাফেজ আব্দুল আউয়ালকে চাপ দেন। কিন্তু অভিভাবক ও এলাকার লোকজনের কথায় তিনি কর্নপাত করেনি আউয়াল। এক পর্যায় ওই নারীর সঙ্গে হাফেজ আব্দুল আউয়ালের অশ্লীল ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাস হয়। অশ্লীল ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ায় ক্ষুব্ধ হন হাফেজ আব্দুল আউয়াল ও তার ভাই ফোরকান। বৃহস্পতিবার সকালে হাফেজ আব্দুল আউয়ালের বড় ভাই ফোরকান ঘটনাস্থল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণ সবুজবাগ এসে স্থানীয় মিরাজ গাজীসহ এলাকাবাসীকে প্রকাশ্যে জীবন নাশের হুমকি দেয়। খবর পেয়ে অর্ধ শতাধিক মানুষ ফোরকানকে আটক করে। পরে সে পালিয়ে যায়। হাফেজ আব্দুল আউয়ালের এমন অশ্লীল কর্মকান্ডের শাস্তি দাবী করে ওইদিন বেলা ১১ টায় এলাকাবাসী মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করেছে। এ বিক্ষোভে এলাকার অর্ধশত মানুষ অংশ নেয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। হাফেজ আব্দুল আউয়ালের শাস্তির দাবীতে ওইদিন দুপুরে উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার অ্যাডভোকেট একেএম সামসুদ্দিন শানুসহ ৩০ নাগরিক আমতলী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
আমতলী উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার অ্যাডভোকেট একেএম সামসুদ্দিন শানু বলেন, একজন কোরানে হাফেজ মানুষ একটি আবাসিক এলাকায় অনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাবে এটা মেনে নেয়া যায়না। ওই হাফেজের কারনে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ওই হাফেজের শাস্তির দাবীতে এলাকাবাসীর পক্ষে আমি থানায় অভিযোগ দিয়েছি। দ্রুত তাকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবী জানাই।
আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এমএইচকে/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৮:৫৩:৪৮ ● ৮১৫ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ