
আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
হার্বেষ্টার মেশিন দিয়ে ধান কাটার মজুরী টাকা চাইতে গেলে হলদিয়া ইউনিয়ন নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামীলীগ সদস্য বাচ্চু মৃধা মেশিন মালিককে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় হার্বেষ্টার মালিক সোহেল রানা সোমবার আওয়ামীলীগ নেতা বাচ্চু মৃধার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনা ঘটেছে বরগুনার আমতলী উপজেলার তক্তাবুনিয়া গ্রামে।
জানাগেছে, আমতলী উপজেলার পশ্চিম সোনাখালী এলাকার সোহেল রানার হার্বেষ্টার মেশিনে ধান কাটতে হলদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সদস্য তক্তাবুনিয়া গ্রামের বাচ্চু মৃধার সঙ্গে চুক্তি হয়। চুক্তি অনুসারে স্থানীয় মাপের এককানি জমিতে এক হাজার টাকা বাচ্চুকে কমিশন দিতে হবে। গত মাসের ১১ এপ্রিল ধান কাটা শুরু করে ১০ মে শেষ হয়। এক মাসে ২৬ কানি জমির ধান কাটা হয়েছে। হার্বেষ্টার মেশিন মালিক সোহেল রানার অভিযোগ ২৬ কানি জমির ধান কাটায় চার লাখ ১৬ হাজার টাকা মজুরি হয়েছে। ওই সমুদয় টাকা কৃষকদের কাছ থেকে দালাল বাচ্চু মৃধা আদায় করেছেন। ওই টাকা থেকে বাচ্চু মৃধা মাত্র দুই লাখ ৫৩ হাজার টাকা তাকে (মেশিন মালিক) দিয়েছেন। অবশিষ্ট টাকা আওয়ামীলীগ নেতা তাকে দিবে না বলে অস্বীকার করেছেন। এ টাকা চাইতে গেলে তাকে বাচ্চু মৃধা প্রাণ নাশের হুমকি দিয়েছেন। এমন অভিযোগ এনে সোহেল রানা সোমবার বিকেলে আমতলী থানার আওয়ামীলীগ সদস্য বাচ্চুর মৃধা বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন।
প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, হিসাব শেষে হার্বেষ্টার মালিক সোহেল রানার বাচ্চুর কাছে অনেক টাকা পাবে। শুনেছি এ নিয়ে ঝামেলা হয়েছে।
কৃষক কিশোর খাঁন বলেন, ওই মেশিন নিয়ে আমার জমির ধান কাটা হয়েছে। মজুরী টাকা আমি সোহেল রানাকে দিয়েছি, তাতে বাচ্চু মৃধা আমাকে হাত-পা ভেঙ্গে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে।
হার্বেষ্টার মালিক সোহেল রানা বলেন, স্থানীয় মাপের এককানি জমি এক হাজার টাকা কমিশনে আওয়ামীলীগ নেতা বাচ্চু মৃধা হার্বেষ্টার মেশিন নেয়। ওই মেশিন দিয়ে গত এক মাসে ২৬ কানি জমির ধান কেটেছে। যার মজুরি হয় চার লাখ ১৬ হাজার টাকা। কিন্তু আমাকে মাত্র দুই লাখ ৫৩ হাটার টাকা দিয়েছে। অবশিষ্ট টাকা চাইতে গেলে তিনি আমাকে প্রাণ নাশের হুমিক দেয়। তিনি আরো বলেন, নিরুপায় হয়ে আমি থানায় অভিযোগ দিয়েছি।
হলদিয়া ইউনিয়ন নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামীলীগ সদস্য বাচ্চু মৃধা তাকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়া কথা অস্বীকার করে বলেন, স্থানীয় মাপের কানি ১১ হাজার টাকা হিসেবে আমার সঙ্গে চুক্তি হয়। ওই চুক্তি অনুসারে ২৬ কানি জমির মজুরী টাকা সোহেলকে দেয়া হয়েছে। চুক্তির বাহিরে বেশী টাকা আয় হলে আমি তা কেন তাকে দেব? উল্টো আমি তার কাছে টাকা পাব। তিনি আরো বলেন, আমার নামে থানায় অভিযোগ দিয়ে যদি কিছু করতে পারে তা যেন করে।
আমতলী থানার ওসি মোঃ আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমএইচকে/এমআর