দুমকি (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
পটুয়াখালীর দুমকিতে জরাজীর্ণ এলজিইডির ১৫ মিটার ফুট আয়রণ ব্রিজটি ভেঙ্গে পড়ায় দুর্ভোগে পড়েছে দু’পারের বাসিন্দারা। সম্প্রতি উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান আ’লীগের প্রার্থী (নৌকা) এডভোকেট গাজী মো: নজরুল ইসলাম তার নির্বাচনী গণসংযোগের ৪/৫টি মোটরসাইকেলে ৯/১০জনকর্মী-সমর্থকনিয়ে ব্রিজটিতে ওঠলে মুহুর্তে ভেঙ্গে পড়ে। তবে এতে তেমন কেউ হতাহত হয়নি। ব্রিজটি ভেঙ্গে পড়ায় পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের ৭ ও ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের খাল পাড়াপাড়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, পাংগাশিয়া ইউনিয়নের ৭ ও ৮নং ওয়ার্ডের মধ্যেবর্তি তক্তাখালী খালের ওপর অন্তত: দেড়যুগ আগে আয়রণ ফুট ব্রিজটি নির্মাণ করে এলজিইডি। দীর্ঘদিন যাবৎ সংস্কারাভাবে ব্রিজটি জড়াজীর্ণ হয়ে পড়ে। গ্রামবাসীরা ভারী যানবাহন ও মালামাল পারাপার বন্ধ রেখে পায়ে হেটে চলাচল করছিল। কয়েকদিন আগে আ’লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী এড. গাজী নজরুল ইসলাম (নৌকা) নির্বাচনী গণসংযোগে ৮/১০জন আরোহীসহ ৪/৫টি মোটরসাইকেল একযোগে উঠে পড়ায় ব্রিজটি খালের মধ্যে ভেঙ্গে পড়ে যায়। এ ব্যাপারে ওই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মো: আলমগীর সিকদার জানান, ৭ ও ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দাসহ সাধারণ মানুষের নিত্য চলাচলের গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজটি ভেঙ্গে যাওয়ায় মানুষ দুর্ভোগের শিকার হয়েছে। বিশেষত: ২/৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের খাল পারাপারে বিকল্প দূরের পথ ব্যবহারে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা মো: চান শরীফ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, চেয়াম্যান হয়ে ৫বছরে যিনি ব্রিজটি সংস্কার করতে পারেনি, তিনি সংস্কারের বদলে ব্রিজটি ভেঙ্গে ফেলে সাধারণ মানুষকে আরও ভোগান্তিতে ফেলেছে। একই অভিযোগ ওই এলাকার জাফর সিকদার, আলাউদ্দিন হাওলাদারসহ অনেকের।
ব্রিজ ভেঙ্গে পড়ার সত্যতা স্বীকার করে এড. গাজী নজরুল ইসলাম জানান, ব্রিজটি নড়বরে ছিল, তবে এতো নাজুক অবস্থা বুঝতে পারিনি। আল্লাহ রহমত করেছে, হালকা ব্যাথা-ফুলা পেলেও কারো বড় ধরণের তেমন কোন ক্ষতি হয়নি। তিনি বলেন, দ্রুত ব্রিজটি সংস্কারের জন্য এলজিইডি প্রকৌশলীকে বলেছি। উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায়ও উত্থাপন করা হয়েছে। যতদ্রুত সম্ভব ব্রিজটি মেরামত করা হলে ভোগান্তি থাকবে না।
উপজেলা প্রকৌশলী মো: আজিজুর রহমান বলেন, পাংগাশিয়া ইউনিয়নের তক্তাখালী খালের ওপর ১৫মিটার আয়রণ ফুট ব্রিজটি ভেঙ্গে পড়ার খবর পেয়েছি। সরেজমিন দেখে মেরামতের ব্যবস্থা করা হবে।
এমআর