আমতলীর শতবর্ষী পুকুরে ময়লা আবর্জনা,দূর্ভোগ

প্রথম পাতা » বরগুনা » আমতলীর শতবর্ষী পুকুরে ময়লা আবর্জনা,দূর্ভোগ
বৃহস্পতিবার ● ২২ এপ্রিল ২০২১


আমতলীর শতবর্ষী পুকুরে ময়লা আবর্জনা,দূর্ভোগ

আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

 

বরগুনার আমতলী উপজেলার গাজীপুর বন্দরে শত বছরের পুরাতন জেলা পরিষদের পুকুর পাড় দখল করে বসবাস করছে তিন পরিবার। ওই পুকুর পাড়ে বসবাসকারী পরিবারের লোকজন ময়লা আবর্জনা ও গোয়াল ঘরের গোবর ফেলায় পানি ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পরেছে। এতে প্রাণঘাতী করোনাকালীন সময় এবং দাপদাহে চরম দূর্ভোগে পরেছে গাজীপুর বন্দরের শত শত পরিবার। দ্রুত প্রশাসনের কাছে পুকুর পাড় দখল মুক্ত করে পানি ব্যবহার উপযোগী করার দাবী এলাকাবাসীর।
জানাগেছে, ১৯২০ সালে বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের মানুষের পানির চাহিদা মিটানের জন্য গাজীপুর বন্দরে তৎকালিন সরকার .৫৯ একর জমির ওপর পুকুর খনন করে। ওই পুকুরের পানি হাজার হাজার মানুষ ব্যবহার করতো। ১৯৮৮ সালে ওই পুকুরটি জেলা পরিষদ অধিনে নিয়ে নেয়। ওই সময় থেকে এ পুকুরটি জেলা পরিষদ দেখভাল করে। ১৯৯০ সালে ওই পুকুর পাড় দখল করে স্থানীয় সোনা খাঁন, শক্তি মিস্ত্রি ও লিটন মিস্ত্রি গৃহ নিমাণ করে বসবাস করে আসছে। প্রতিদিন গাজীপুর বন্দরের শতশত মানুষ ওই পুকুরের পানি ব্যবহার করে। এ পুকুর পাড়ে বসবসরত পরিবারের লোকজন ময়লা আবর্জনা ও গোয়াল ঘরের গোবর পুকুরে ফেলায় পানি ব্যবহার অনুপোযোগী হয়ে পরেছে। গত জানুয়ারী মাসে ওই পুকুর জণস্বাস্থ্য অধিদপ্তর সংস্কার করে। এদিকে পুকুর পাড় দখল মুক্ত করতে স্থানীয়রা বরগুনা জেলা পরিষদ কার্যালয়ে অভিযোগ দিয়েছেন কিন্তু অজ্ঞাত কারনে তারা কোন কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহন করছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন বলেন, পাড়ে বসবসরত পরিবারের গৃহস্থলী ময়লা আবর্জনা ও গোয়াল ঘরের গোবর পুকুরের পানিতে মিলে পানি নষ্ট হয়ে গেছে। বহুবার বলা সত্ত্বেও তারা কর্নপাত করেনি। তারা আরও বলেন, শত বছরের পুরাতন এ পুকুরটি এ বছর জণস্বাস্থ্য অধিদপ্তর সংস্কার করে কিন্তু দখলকারীদের ঘর থাকায় পাড় সংস্কার করতে পারেনি। ফলে পুকুরের সৌন্দার্য নষ্ট হয়ে গেছে। অনতিবিলম্বে এ পুকুর পাড় দখল মুক্ত করে পানি ব্যবহার উপযোগী করার দাবী জানান তারা।
স্থানীয় বাবুল মিস্ত্রি বলেন, সোনা খাঁন, শক্তি মিস্ত্রি ও লিটন মিস্ত্রি শত বছরের পুরাতন পুকুর পাড়ে ঘর নির্মাণ করে ময়লা আবর্জনা ও গোয়াল ঘরের গোবর ফেলে পানি নষ্ট করে দিয়েছে। এতে পুকুরের পানি ব্যবহার করতে পারছি না।
দখলকারী লিটন মিস্ত্রি পুকুরে কিছু ময়লা আবর্জনা ফেলার কথা স্বীকার করে বলেন, জেলা পরিষদের কোন অনুমতি ছাড়াই ৩৫ বছর ধরে পুকুর পাড়ে ঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছি।
আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ নেয়ামত মৃধা তিন পরিবার পুকুর পাড় দখল করে থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, শতাধিক পরিবার এ পুকুরের পানি ব্যবহার করছে।
বরগুনা জেলা পরিষদ প্রধান সহকারী মোঃ হারুন অর রশিদ বলেন, ওই এলাকার লোকজন অভিযোগ নিয়ে চেয়ারম্যানের কাছে এসেছিল কিন্তু চেয়ারম্যান কি ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন তা আমার জানা নেই।
বরগুনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন,অভিযোগ পেয়েছি। প্রাণঘাতী করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসলে জেলা পরিষদের লোক পাঠিয়ে কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এমএইচকে/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৮:৪০:৪০ ● ৫৬৭ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ