
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা অফিস॥
কলাপাড়ায় চাঁদার টাকা না দেয়ায় বিসমিল্লাহ ব্রিকফিল্ডের মালিক ও মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শাহ আলম হাওলাদারকে (৬৪) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করার প্রতিবাদে এবং জড়িত সন্ত্রাসী চেয়ারম্যান মশিউর রহমান শিমুসহ সকলের বিচারের দাবিতে মুক্তিযোদ্ধারা মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টায় মানববন্ধন প্রতিবাদ সভা ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
কলাপাড়া প্রেসক্লাব সংলগ্ন সড়কে প্রায় ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন পটুয়াখালী জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এমএ আব্দুল হালিম, মক্তিযোদ্ধা ও কলাপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম রাকিবুল আহসান, কলাপাড়া উপজেলার সাবেক কমান্ডার বদিউর রহমান বন্টিন, চাকামইয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ হুমায়ুন কবির কেরামত ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন বিপ্লব। প্রতিবাদ সভা শেষে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, মুক্তিযোদ্ধা বদিউর রহমান বন্টিন।

বক্তারা অভিযোগ করেন, পরিকল্পিতভাবে চেয়ারম্যান মশিউর রহমান শিমু ও তার স্ত্রী বিএনপি নেত্রী খাদিজা আক্তার এলিজার নেতৃত্বে বিএনপির ক্যাডারদের গঠিত সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে চাদার জন্য বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধা শাহআলম হাওলাদারের ওপর বর্বর এ হামলা চালায়। এবাহিনীকে গণমানুষের দুষমন, লুন্ঠনকারী, চাঁদাবাজ আখ্যা দিয়ে সকলকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। পাশাপাশি মূল হোতা চেয়ারম্যান মশিউর রহমান শিমু, তার স্ত্রী এলিজাসহ পাঁচজনকে দ্রুত গ্রেফতার করায় পুলিশকে অভিনন্দন জানান। প্রশংসা করেন। বক্তারা এও বলেন, দীর্ঘদিন পর্যন্ত এদের গঠিত ভাইয়া বাহিনীর ভয়ে আর আতঙ্কে টিয়াখালী এবং চাকামইয়ার মানুষের প্রতিদিনের ঘুম ভাঙে। এচক্রের কারণে আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তিও চরমভাবে ক্ষুণœ হচ্ছে।
উল্লেখ্য রবিবার সন্ধ্যায় চাকামইয়ার ইসলামপুরে মুক্তিযোদ্ধা শাহআলম হাওলাদারকে তার ইটভাটার অফিস থেকে নামিয়ে বেধড়ক কোপানো ও পেটানো হয়। তার দুই পা থেতলে দেয়া হয়েছে। তিনি বর্তমানে শঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় ওই রাতে পুলিশ মূল আসামি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান শিমু, স্ত্রী এলিজাসহ মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করে। আহত মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী আকলিমা বেগম বাদি হয়ে একটি মামলা করেছেন। বর্তমানে ধৃত আসামিরা জেল হাজতে রয়েছেন। পুলিশ সোমবার সকল আসামিকে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। আদালত আগামি ৬ ডিসেম্বর শুনানির দিন ধার্য করেছে। কলাপাড়া থানার ওসি খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বাকি আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এমইউএম/এমআর