আমতলী হাসপাতালে পানি সরবরাহ বন্ধে ভোগান্তি!

প্রথম পাতা » বরগুনা » আমতলী হাসপাতালে পানি সরবরাহ বন্ধে ভোগান্তি!
সোমবার ● ৩০ নভেম্বর ২০২০


আমতলী হাসপাতালে পানি সরবরাহ বন্ধে ভোগান্তি!

আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

পাম্প মেশিন পুড়ে যাওয়ায় আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঁচ দিন ধরে পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। পানি সরবরাহ বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পরেছে রোগী, রোগীর স্বজন ও কোয়াটারে বসবসরত হাসপাতালের ২০ টি পরিবার। অভিযোগ রয়েছে স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের গাফলতিতে এ পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।  দ্রুত নতুন পাম্প মেশিন স্থাপন করে পানি সরবরাহ নিশ্চিতের দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
জানাগেছে, পটুয়াখালী স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ১৯৮৯ সালে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পানি সরবরাহ পাম্প মেশিন স্থাপন করে। গত ৩১ বছর ধরে ওই পাম্প মেশিনে পানি সরবরাহ করে আসছে। পাম্প মেশিন স্থাপনের পাঁচ বছরের মাথায় মেশিনে ত্রুটি দেখা দেয়। অভিযোগ রয়েছে গত ৩১ বছরে অন্তত অর্ধ শতাধিক বার পাম্প মেশিন বিকল হয়ে পানি সরবরাহ বন্ধ থাকে। এতে প্রায়ই দুর্ভোগের স্বীকার হয় হাসপাতালের রোগী ও রোগীর স্বজনদের। হাসপাতালে নিরলস পানি সরবরাহের জন্য নতুন পাম্প মেশিন স্থাপনের দাবী করে আসছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু পটুয়াখালী স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর নতুন মেশিন স্থাপন না করে জোরাতালি দিয়ে পুরাতন মেশিন দিয়ে পানি সরবরাহ করে আসছে।  গত বৃহস্পতিবার রাতে ওই পাম্প মেশিন পুড়ে যায়। এতে গত পাঁচ দিন ধরে হাসপাতালে পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ভোগান্তিতে পরেছে  রোগী, রোগীর স্বজন ও  হাসপাতালের কোয়াটারে বসবাসরত চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফরা। বর্তমানে হাসপাতালের রোগীদের গোসল ও শৌচাগার প্রায় বন্ধ রয়েছে। রোগীর স্বজনদের বাহির থেকে পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে। দ্রুত পানি সরবরাহ নিশ্চিতের দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। হাসপাতালে পানি না থাকায় অনেক রোগী হাসপাতাল ছেড়ে চলে গেছে। এদিকে পাম্প মেশিন পুড়ে যাওয়ার খবর পটুয়াখালী স্বাস্থ্য প্রকৌশলী বিভাগকে জানানো হলেও তারা নুতন পাম্প মেশিন স্থাপনের উদ্যোগ নিচ্ছে না এমন অভিযোগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।
হাসপাতালের রোগীর স্বজন সেলিনা বেগম বলেন, পানির অভাবে নবীর উম্মত ধংস হয়ে যাচ্ছে।
রোগী রানী বেগম, ফরিদা ও  পিয়ারা আক্তার বলেন, পাঁচ দিন ধরে হাসপাতালে পানি নেই। পানি না থাকায় গোসল ও শৌচাগারে খুব সমস্যা হচ্ছে। দ্রুত পানি সরবরাহের দাবী জানান তারা।
রোগী কুদ্দুস ও হাসেম গাজী বলেন, পানি না থাকায় মোগো এ্যাকছের সোমেস্যা অইতে আছে।
রোগীর স্বজন হাবিব মিয়া বলেন, হাসপাতালে রোগী নিয়ে এসেছিলাম কিন্তু পানি না থাকার খবর শুনে রোগী হাসপাতালে ভর্তি না করে বাড়ী নিয়ে যাচ্ছি।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শংকর প্রসাদ অধিকারী হাসপাতা রোগী ও হাসপাতালের কোয়াটারে বসবাসরত চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফদের সমস্যার কথা স্বীকার করে বলেন, পটুয়াখালী স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগকে নতুন পাম্প মেশিন স্থাপনের পত্র দেয়া হয়েছে।
পটুয়াখালী স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ নাজমুল হক বলেন, নতুন মেশিন ক্রয়ের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। দু’এক দিনের মধ্যে মেশিন স্থাপন করে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে।

এমএইচকে/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৯:০৯:৩১ ● ৩০৬ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ