কলাপাড়ায় হাজী সেলিমের দখলে থাকা ১৩কৃষকের জমি উদ্ধার শুরু

প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » কলাপাড়ায় হাজী সেলিমের দখলে থাকা ১৩কৃষকের জমি উদ্ধার শুরু
শনিবার ● ১৪ নভেম্বর ২০২০


কলাপাড়ায় হাজী সেলিমের দখলে থাকা ১৩কৃষকের জমি উদ্ধার শুরু

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা অফিস॥

দখলের প্রায় সাড়ে চার বছর পর পৌণে পাঁচ একর কৃষি জমি পুনরুদ্ধার শুরু করেছেন ১৩ কৃষক পরিবার। ঢাকার সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের মালিকানাধীন মদিনা গ্রুপের লোকজন ২০১৬ সালের মে মাসে অন্তত পাঁচ কোটি টাকা মূল্যের এ পরিমাণ কৃষি জমি দখল করে নেয়। কলাপাড়ার টিয়াখালী ইউনিয়নের পায়রা ফোর লেন সড়ক লাগোয়া এ জমির অবস্থান। দখল করার পরে জমিতে রিং বেড়িবাঁধ দেয়া হয়েছিল। শনিবার সকালে কৃষকরা তাঁদের দখলচ্যুত হওয়া চাষের জমি পুনরুদ্ধারে নামেন। তাঁরা স্কেভেটর দিয়ে রিংবেড়িবাঁধ কেটে মালিকানা ফিরিয়ে নেয়ার কাজ করছেন।
রজপাড়া গ্রামের কৃষক আনোয়ার মিনা, শহিদুল মিনা, দেলোয়ার মিনা, আবুল কালাম, ফুলবানু, আব্দুল মান্নান, সৈয়দ আহসান উদ্দিন, ইসমাইল গাজী, ফিরোজা বেগম, মোজাম্মেল হওলাদার, কামরুল ইসলাম ও ইউসুফ মিনা গং এ জমির মালিক। তাঁরা জানান, টিয়াখালী ইউনিয়নের রজপাড়া মৌজার এসএ ৯০, ১১২, ১১৩, ১১৫, ১২২ খতিয়ানের এই জমি বছরের পর ধরে ভোগ দখল করে আসছিলেন। চাষাবাদ করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন। হঠাৎ করে ২০১৬ সালের মে মাসে মদিনা গ্রুপের লোকজন স্থানীয় একটি সন্ত্রাসী বাহিনীর মদদে জোর করে পাঁচ একর কৃষি জমি দখল করে নেয়। যা বালু ভরাটের জন্য ২০১৯ সালে রিং বেড়িবাঁধ দেয়। তখন জমির মালিকরা প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ধর্ণা দিয়ে কোন প্রতিকার পায়নি। মদিনা গ্রুপের ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও প্রভাবে অসহায় কৃষকরা পিছু হটে যায়। সৈয়দ আহসান পাভেল জানান, তাঁদের এক একর ৪৩ শতক জমি দখল করে নিয়েছিল। যা আজ, শনিবার সকাল থেকে পুনরুদ্ধার শুরু করেছেন। তিনি আরও জানান, বিষয়টি শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে সমাধানের লক্ষ্যে ১৫ মাস আগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। কিন্তু কোন সমাধান দেয়া হয়নি। মদিনা গ্রুপের ডিজিএম (ল্যান্ড) মো. নুরুল হামিদ জানান, ওই জমি এক মালিকের কাছ থেকে কিনেছেন। তাঁরা ক্রয়ের আগে ছয় মাস সাইনবোর্ড দেয়া ছিল। তখন কেউ যোগাযোগ করেনি। কাগজপত্র ঠিক দেখে পুরো বাজার দামে তাঁরা চার একর ৭৪ শতক জমি ক্রয় করেন। যার মধ্যে পরবর্তিতে তিন একর ৯২ শতক জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। যা নিরসনে দাবিদারদের সঙ্গে সমঝোতা বৈঠক করা হয়েছে। সবশেষ দেড় মাস আগে ঢাকায় বসেছেন। এখন জটিলতা আর থাকছে না। নুরুল হামিদ দাবি করেন, তাদের একই জমি এখন দুইবার কিনতে হচ্ছে। উল্টো প্রতারণার শিকার হয়েছেন। পুর্বের বিক্রেতা জমি নিয়ে মামলার কথা গোপন করেছেন। এনিয়ে তারা আইনি পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানালেন।

এমইউএম/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২১:০১:৫১ ● ৫১৫ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ