
চরফ্যাশন (ভোলা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে চরফ্যাশন উপজেলার চরাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে।
বুধবার ও বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) কুকরি-মুকরি, চর পাতিলা, ঢালচর, জাহানপুর মাওলানা ভাসানী আবাসন কেন্দ্র, চরমোতাহার, মেঘভাসান ও শিকদারের চরসহ অসংখ্য চর প্লাবিত হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, বিগত দুই দিনের (বুধবার ও বৃহস্পতিবার) মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ায় অস্বাভাবিক জোয়ারের কারনে অধিকাংশ চরাঞ্চল এলাকা ডুবে গেছে। রাস্তা, বাড়ি, পুকুর পানির নিচে রয়েছে। সবজির খামার, মাছের ঘের ও জাহানপুর মাওলানা ভাসানী আশ্রয়ন কেন্দ্র কোনটাই রক্ষা পায়নি জোয়ারের পানি থেকে।
চর পাতিলার স্থানীয় বাসিন্দা ইউসুফ হোসেন জানান, বেড়িবাঁধ না থাকায় জোয়ারের পানি উঠে আমাদের বসতভিটাসহ সব ডুবে গেছে। চুলায় রান্না-বান্না করাও সম্ভব হচ্ছে না। খেয়ে না খেয়ে মানুষ চরম ভোগান্তিতে রয়েছে। প্রতিদিন দুই দফায় জোয়ারের পানি উঠানামায় যোগাযোগ ব্যবস্থাও ভেঙে পড়েছে।
জাহানপুর মাওলানা ভাসানী আশ্রয়ণ প্রকল্পের সভাপতি হেলাল উদ্দিন চৌধুরী জানান, বেড়িবাঁধের বাহিরে আশ্রয়ণ কেন্দ্রে ৮০টি পরিবারে প্রায় ৫ শত মানুষ জোয়ারের পানিতে বন্দী হয়ে দুর্বিষহ জীবন যাপন করছেন। প্রকল্পটির চারপাশে উঁচু করে বাদ দেয়ার দাবি জানাচ্ছেন বসবাসকারী বাসিন্দারা। কুকরি-মুকরি ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাসেম মহাজন বলেন, সিডর, আইলা, নার্গিস, আম্ফানসহ প্রতিটি দুর্যোগে সবচাইতে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আমার জনগণ। বেড়িবাঁধ না থাকায় খুব সহজেই বন্যা বা জোয়ারের পানি ঢুকে পড়ে গ্রামে। নেই প্রয়োজনীয় আশ্রয়কেন্দ্র। বর্তমানে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে শত শত পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বিভিন্ন প্রকারের খামার, মাছের ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে। অসহায় হয়ে পড়েছে অধিকাংশ মানুষ।
চরফ্যাশন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিনার বলেন, চরাঞ্চলে জোয়ার ও প্রবল বর্ষণে মাছের খামার গুলো ডুবে যাওয়া নদী ও খাল বিলে মাছ চলে গেছে। ফলে মৎস্য চাষীগন বেশী ক্ষয় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
এএইচ/এমআর