কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা অফিস॥
পায়রা বন্দরসহ উপকূলে ধেয়ে আসা অতি প্রবল ঘুর্ণিঝড় আমফান মোকাবেলায় সাগরপারের কলাপাড়ায় ব্যাপক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে উপজেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি।
সোমবার রাতের পরে মঙ্গলবার (১৯ মে) সকাল ১০টায় ১২টি ইউনিয়ন এবং দুই পৌরসভায় দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সকল আশ্রয়কেন্দ্রে নির্দিষ্ট সময় মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে আনার প্রস্তুতি নেয়া হয়। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে আলো, খাবার পানি, টয়লেট, শুকনো খাবারের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। এসংক্রান্ত একাধিক কমিটি গঠিত হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক জানান, ১৬৩টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সম্ভাব্য দেড় লক্ষাধিক মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নেয়া মানুষের জন্য ১২টি ইউনিয়নে ৭০ টন এবং কুয়াকাটা, কলাপাড়া পৌরসভার জন্য ছয় টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। নগদ আরও চার লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। আমফান মোকাবেলায় সিপিপির ২৩৭০ জন স্বেচ্ছাসেবী কাজ শুরু করেছে। ২৪ ঘন্টার জন্য কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সবার আগে বিভিন্ন ইউনিয়নে বেড়িবাঁধের বাইরের প্রায় নয় হাজার পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেয়ার জন্য কাজ শুরু হয়েছে। কুয়াকাটায় বেড়িবাঁধের বাইরের হাজারো পরিবারকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনসহ স্বেচ্ছাসেবীরা কাজ করছে। এদিকে সাগর প্রচন্ড উত্তাল হয়ে উঠেছে। নিরাপদে কিনারে ফেরার জন্য বলা হলেও এখনও অনেক মাছ ধরার ট্রলার সাগরে অবস্থানের অভিযোগ রয়েছে। তবে অধিকাংশ ট্রলার আলীপুর-মহিপুরে ফিরে এসেছে বলে মৎস্য আড়ত মালিক সমিতি জানিয়েছে। লালুয়ার সাত কিলোমিটার ভেড়িবাঁধ ভাঙ্গা থাকায় সেখানকার চারিপাড়াসহ ১১ গ্রামের মানুষ জলোচ্ছ্বাসে ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কায় পড়েছেন। একই দশা নিজামপুরের রিং বেড়িবাঁধ দেয়া এলাকার মানুষের। ৪৮ নম্বর পোল্ডারের কয়েকটি স্লুইসগেট নির্মাণের কাজ চলায় বেড়িবাঁধ কাটা থাকায় লতাচাপলী, কুয়াকাটা পৌরসভা ও ধুলাসার ইউনিয়নের অর্ধেক মানুষ জলোচ্ছ্বাস ঝুকিতে রয়েছে। তারপরও দূর্যোগকালীন ঘুর্ণিঝড়ের গ্রাসে থাকা কলাপাড়ার প্রায় তিন লাখ মানুষ এখন আমফান মোকবেলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এমইউএম/এমআর