কলাপাড়ায় জাল টাকার অযুহাতে বৃদ্ধকে এলাকা ছাড়া

প্রথম পাতা » বিবিধ » কলাপাড়ায় জাল টাকার অযুহাতে বৃদ্ধকে এলাকা ছাড়া
শুক্রবার ● ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২০


কলাপাড়ায় জাল টাকার অযুহাতে বৃদ্ধকে এলাকা ছাড়া

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সারকন্যা অফিস॥

জাল টাকার অজুহাত সৃষ্টি করে ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধ ছিদ্দিক মাতুব্বরকে একটি ঘরের পেছনে আটকে বেধড়ক মারধর বর্বর নির্যাতন চালানো হয়েছে। বয়োবৃদ্ধ মানুষটির গোপনাঙ্গে বর্বর নির্যাতন করা হয়। এমনকি পুলিশে দেয়ার কথা বলে তার কাছে এক লাখ টাকা দাবি করে শেষমেষ ৩৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এক শ’ টাকার তিনটি অলিখিত স্ট্যাম্পে সই রেখে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনা কাউকে না জানানোর জন্য ছিদ্দিক মাতুব্বরকে কিছুদিনের জন্য এলাকা ত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে।
উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের বানাতিবাজারে জলিলের হোটেলের পেছনে নিয়ে ২ ফেব্রুয়ারি ছিদ্দিক মাতুব্বরকে বর্বর নির্যাতন করা হয়। চারিপাড়ার নাসির হাওলাদারের ছেলে প্রতিবন্ধী মিজানুর, বানাতির ওয়াজেদ হাওলাদারের ছেলে আরেক মিজানুর ওরফে মিজু ও তাদের এক সহযোগী নয়ন তিনজনে মিলে এ মানুষটিকে নির্দয় নির্যাতন চালায়। জানা গেছে, ছিদ্দিক মাতুব্বরের কাছে দশ হাজার পাঁচ শ’ টাকা পেত প্রতিবন্ধী মিজানুর। ছিদ্দিক মাতুব্বর ওই টাকা ২৯ জানুয়ারি শোধ দেয়। প্রতিবন্ধী মিজান আবার ওই টাকা মিজানুর মিজুকে দেয়। তিনদিন পরে মিজু বিদ্যুত বিল দিতে গেলে বলে ওই টাকা জাল। এ জন্য মিজু প্রতিবন্ধী মিজানকে দায়ী না করে ছিদ্দিক মাতুব্বরকে দায়ী করে ধরে এনে নির্যাতন চালায়। বিষয়টি গণমাধ্যমে জানাজানি হলে প্রতিবন্ধী মিজান ও মিজানুর ছিদ্দিক মাতুব্বরকে ২০ হাজার টাকা ফেরত দেয়। আর স্ট্যাম্পও ফেরত দেয়। এলাকাবাসী জানায়, প্রতিবন্ধী মিজান নিজেকে থানা-পুলিশের সোর্স পরিচয়ে এলাকায় ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে হয়রানি করে আসছে। ইয়াবা ট্যাবলেট রেখে ধরিয়ে দেয়ার কাজ করে আসছে। তার কাছে মানুষ অনেকটা জিম্মি হয়ে পড়েছে। এ তিনজনের চক্র অধিগ্রহণের জন্য আবেদন করা কৃষক-জেলে পরিবারের বিরুদ্ধে পটুয়াখালী জেলা অধিগ্রহণ শাখায় আপত্তি জানিয়ে লিখিত অভিযোগ দেয়ার কাজ করে। পরে আপত্তির অভিযোগ টাকার বিনিময় প্রত্যাহার করে নেয়্। এমন বহু অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এব্যাপারে অভিযুক্ত প্রতিবন্ধী মিজানুর জানান, বিষয়টি সম্পুর্ন বানোয়াট। মিথ্যা। ছিদ্দিক মাতুব্বরের কাছে তার ভাতিজা টাকা পেত। এজন্য একটি কাগজ দেয়া ছিল ছিদ্দিক মাতুব্বের। তা আদায় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। তখন টাকা নিয়ে ওই কাগজ দেয়ার জন্য বলে দিয়েছি। মিজানুর রহমান মিজু জানান, তিনি তার অসুস্থ্য স্ত্রীকে নিয়ে পটুয়াখালীতে রয়েছেন। পরে কথা বলবেন। কলাপাড়া থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম জানান, এ নামে কেউ সোর্স নেই। তারপরও খোঁজ-খবর নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন বলে জানালেন।

এমইউএম/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৬:২০:১১ ● ৩৪৪ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ