বাউফলের ১৪ গ্রাম আলোকিত

প্রথম পাতা » সর্বশেষ » বাউফলের ১৪ গ্রাম আলোকিত
বৃহস্পতিবার ● ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২০


বাউফলের ১৪ গ্রাম আলোকিত

বাউফল (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

মুজিববর্ষের মধ্যেই বাউফলকে শতভাগ বিদ্যুতায়ণ করার লক্ষ্যে বৃহষ্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বাউফলে  ৪ কোটি ৭০ লাখ ৯১ হাজার টাকা ব্যয়ে ৩০.৫৭ কিলোমিটার নতুন বিদ্যুৎ লাইনের মাধ্যমে ১৪ গ্রামকে আলোকিত করা হলো। এর আওতায় ১ হাজার ৪০৪ জন গ্রাহক বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে।
বৃহষ্পতিবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ মিলায়তনে বাউফল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার একেএম আজাদের সভাপতিত্বে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে স্থানীয় এমপি সাবেক চীফ হুইপ বর্তমান জাতীয় সংসদের সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটির সভাপতি আ.স.ম. ফিরোজ প্রধান অতিথি হিসেব উপস্থিত থেকে ১৪ গ্রামকে আলোকিত কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল মোতালেব হাওলাদার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাকির হোসেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. মোসারেফ হোসেন খান, বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দোকার মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা পরিষদ সদস্য হারুন অর রশিদ ও বাউফল পৌর আওয়াী লীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফারুক প্রমূখ।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ডিজিএম একেএম আজাদ জানান, বাউফলে ইতিমধ্যে শতকরা ৯৭ ভাগ পরিবার বিদ্যুতের আওতায় এসেছে। আগামি মার্চ মাসের মধ্যে বাউফল উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতায়ণ করার লক্ষে কাজ করা হচ্ছে।
প্রধান অতিথি আ.স.ম. ফিরোজ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা করার সময় দেশের প্রত্যেক পরিবারকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনার কথা দিয়েছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় বাউফলে দ্রুতগতিতে বিদ্যুতায়ণের কাজ এগিয়ে চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী। আওয়ামী লীগ দেশের সাধারন মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী অবহেলিত দেশের দক্ষিণাঞ্চলকে অগ্রাধিকার দিয়ে পায়রা সমুদ্র বন্দর, পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র, কুয়কাটা পর্যটন কেন্দ্র, লেবুখালী সেতু, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ, শেখ হাসিনা সেনানীবাস, ফোরলেন রাস্তা এবং রেল লাইন স্থাপণের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় দুস্থ্য মানুষের জন্য ভাতা, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, ভিজিডি, ভিজিপি, ঈদ কোরবানীতে বিশেষ ভাতা, জেলেদের পূর্ণবাসন ভাতাসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন।
প্রধান অতিথি বিএনপির উদ্দেশ্যে বলেন, তাদের আমলে দেশের মানুষ উন্নয়ন কি ছিল তা জানতেন না। শুধু লুট পাটই ছিল তাদের রাজনীতির মূল কাজ। তারা দেশের মানুষের কখা না ভেবে লুটপাট করে বিদেশে পাচার করতো। কিন্তু আজ আওয়ামী লীগের আমলে দেশের মানুষ সুখে শান্তিতে বসবাস করছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আজ বিশ্বনেতারা জানতে চাচ্ছেন, কী ভাবে এতো দ্রুত বাংলাদেশকে উন্নয়নের একটি মাইল ফলকে নিয়ে গেলেন। এখন বিদেশীরাও আমাদের উন্নয়নের মডেলকে অনুসরণ করছে। নে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি এবং সংবাদকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

এপি/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২০:৩৪:১৮ ● ৫৭০ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ