মুকসুদপুরে যুবকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা

প্রথম পাতা » ঢাকা » মুকসুদপুরে যুবকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা
শনিবার ● ১ ফেব্রুয়ারী ২০২০


মুকসুদপুরে যুবকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা

গোপালগঞ্জ সারকন্যা প্রতিনিধি॥

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের কলিগ্রামে তুষার বাড়ৈ (৩২) নামে এক খ্রীষ্টান যুবকের রহস্যজনক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে বিষ প্রয়োগ করে হত্যা করেছে বলে তুষার বাড়ৈর পরিবারের দাবি।
বিগত ২৭ জানুয়ারি এঘটনায় অসিত বাড়ৈ বাদী হয়ে পুত্র হত্যার সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচার চেয়ে আমলী আদালত, মুকসুদপুরে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, কলিগ্রামের অসিত বাড়ৈর ছেলে তুষার বাড়ৈ একজন উচ্চ শিক্ষিত মেধাবী যুবক। তিনি ঢাকার একটি প্রাইভেট ফার্মে হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এক বছর আগে একই এলাকায় (কলিগ্রাম) ইসহাক বাড়ৈর মেয়ে সীমা বাড়ৈর সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসার জীবন ভালই চলছিল।কিন্তু কিছ’দিন যেতেই স্ত্রী সীমা বাড়ৈর অন্যান্য পরপুরুষের সাথে বিবাহ বহিভর্’ত অনৈতিক সম্পর্ক তার চোঁখে ধরা পড়ে। এনিয়ে তাদের সংসারে কলহ ও দ্বন্দ্ব দেখা দেয়।
গত ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন উপলক্ষে স্বামী-স্ত্রী দু’জনে ঢাকা থেকে তারা তাদের গ্রামের বাড়িতে আসেন। ২৯ ডিসেম্বর রাতে পাশ্ববর্তী বানিয়ারচর গ্রামে তুষারের স্ত্রী-র বড় বোনের বাড়ীতে তারা নিমন্ত্রন খেতে যান। সেখান থেকে ফিরে ওই রাতেই তুষার অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিন্তু রহস্যজনক কারনে সীমা বাৈেড়ই তার স্বামীর অসুস্থার খবর গোপন রাখেন। পরদিন ৩০ ডিসেম্বর বিকেলে তুষারের শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটলে দ্রুত তাকে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানেও তার শারীরিক অবস্থার কোন উন্নতি না হয়ায় ওই রাতেই গুরুতর অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়।  রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ছাড়পত্রে তুষার এলকোহল পয়জনিং-এ ভুগছিলেন বলে উল্লেখ করা হয়।
তুষারের দাদা সুব্রত বাড়ৈ অভিযোগ করে বলেন, তুষারের মৃত্যুর খবরে আমরা ভীষনভাবে ভেঙ্গে পড়ি। আমার নাতি অত্যান্ত মেধাবী ও নীরিহ মানুষ ছিলেন। তার মৃত্যুকে কোনভাবেই আমরা স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে দেখছি না। তাকে পরিকল্পিতভাবে বিষ প্রয়োগ করে হত্যা করা হয়েছে বলে আমাদের ধারনা। কোন কিছ’ই বোঝার আগে ৩১ ডিসেম্বর ময়নাতদন্ত ছাড়াই  তড়িগড়ি করে তুষারকে সমাহিত করা হয় ।
তুষারের স্ত্রী সীমা বাড়ৈই তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার স্বামীর সাথে আমার সম্পর্ক ভাল ছিল।স্বামীর মৃত্যুর শোকে আমি এখনও কাটিয়ে উঠতে পারিনি। একটা মহল আমার বিরুদ্ধে এসব অপবাদ দিচ্ছে।
মুকসুদপুরের সিন্ধিয়াঘাট ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ আবুল বাশার বলেন, কোন পক্ষের অপত্তি না থাকায় এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অনুরোধে লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়নি। এছাড়া মামলার বিষয়টিও আমার জানানেই। এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

এইচবি/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২৩:০৩:৩৮ ● ৩৭৯ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ