রাঙ্গাবালী বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের জমি দাতাকে সন্মাননা

প্রথম পাতা » সর্বশেষ » রাঙ্গাবালী বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের জমি দাতাকে সন্মাননা
মঙ্গলবার ● ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯


রাঙ্গাবালী বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের জমি দাতাকে সন্মাননা


রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

 

 

 

দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় জাতীয় গ্রিডের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছাতে যাচ্ছে। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলায় বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে জমিদান করা হয়েছে। এদিকে, জমিদাতা ছোটবাইশদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এবিএম আব্দুল মান্নানকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ফুলের শুভেচ্ছা ও সন্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।

যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সাগর ও নদী বেষ্টিত উপজেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন করতে ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের গহিনখালী গ্রামে উপকেন্দ্র নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে ৬০ শতাংশ জমি দান করেন ইউপি চেয়ারম্যান এবিএম আব্দুল মান্নান। পরে মঙ্গলবার দুপুর ২ টায় গলাচিপা অডিটরিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জমির দলিল পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এসময় দাতা এবিএম আব্দুল মান্নানকে ফুলের শুভেচ্ছা জানিয়ে সন্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তারা।

এতে উপস্থিত ছিলেন, রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাশফাকুর রহমান, গলাচিপা উপজেলা ভূমি সহকারি কমিশনার সুরিত সালেহীন, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পটুয়াখালীর জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মনোহর কুমার বিশ্বাস, নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম মিয়া, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (গলাচিপা) প্রকৌশলী মাইনউদ্দিন আহমেদ ও সিপিপির উপজেলার ডেপুটি টিম লিডার মাহমুদ হাসান প্রমুখ।

জমিদাতা ছোটবাইশদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এবিএম আব্দুল মান্নান বলেন, ‘জমি অধিগ্রহণ করাটা অনেক সময়ের ব্যাপার। তাই মুজিব বর্ষ ও শেখ হাসিনার উদ্যোগ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ  কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষ্যে আমি স্বেচ্ছায় জমি দান করেছি।’

এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পটুয়াখালী কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম মিয়া বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান সাহেব জমিদান করে আমাদের কাজটি সহজ করে দিয়েছেন। ইতোমধ্যে আমার সাব স্টেশনের জন্য ডিজাইন করে ফেলেছি। চারটি ইউনিয়নে সাড়ে ৮০০ কিলোমিটার লাইন স্থাপনের জন্য ডিজাইন করেছি। আমরা টেন্ডার প্রক্রিয়ায় চলে যাচ্ছি। আগামী মার্চ মাসের মধ্যেই আমরা দৃশ্যমান কাজ শুরু করতে পারবো। আর ডিসেম্বরে বিদ্যুৎ কার্যক্রম শুরু করতে পারবো বলে আশা করি। এই উপকেন্দ্র থেকে ১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ যাবে।

 

 

কেএইচ/এমআর

 

বাংলাদেশ সময়: ১৬:০৬:৫৩ ● ৪৯৬ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ