চরফ্যাশনে এইচ এসসি পরীক্ষার ফরম পুরণে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ

প্রথম পাতা » ভোলা » চরফ্যাশনে এইচ এসসি পরীক্ষার ফরম পুরণে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ
শনিবার ● ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯


চরফ্যাশনে এইচ এসসি পরীক্ষার ফরম পুরণে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ

চরফ্যাশন (ভোলা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

চরফ্যাশন পৌরসভায় অবস্থিত ফাতেমা মতিন মহিলা মহাবিদ্যালয়ে এইচ এসসি পরীক্ষায় ফরম পুরনে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। কলেজের উন্নয়নসহ বিভিন্ন খাতে খরচ দেখিয়ে শিক্ষাবোর্ডের নির্ধারিত ফি ছাড়াও অধিকাংশ শিক্ষার্র্থীর কাছ থেকে ১ থেকে দেড় হাজার টাকা অতিরিক্ত অর্থ আদায় করার অভিযোগ করেছেন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানায় ২০২০সালের এইচ এসসি পরীক্ষার ফরম শুরু হয় ১৭ ডিসেম্বর থেকে বোর্ডের লেটফি সহ ফরম পুরনের নির্ধারিত শেষ তারিখ হয়েছে ২৮ ডিসেম্বর/১৯ শনিবার। কলেজে এইচ এসসি পরীক্ষায় নিয়মিত  ২৭০জন শিক্ষার্থী রয়েছে। তাদের মধ্যে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট নিয়মিত ও অনিয়মিত ফরম পুরণ করেছে ২৭৪ শিক্ষার্থী । শিক্ষাবোর্ডের নির্ধারিত ফি রয়েছে মানবিক ও বানিজ্য বিভাগে ২২৩৫টাকা ও বিজ্ঞান বিভাগে ২৭৯৫টাকা। অনিয়মিত মানবিক ও বানিজ্য শিক্ষার্থীদের ২৩৩৫টাকা ও বিজ্ঞান বিভাগে ২৮৯৫টাকা করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনী পরীক্ষায় কার্যকৃত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৩৫শ থেকে ৪হাজার টাকা গ্রহণ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত নেয়া হয়েছে ১ থেকে দেড় হাজার টাকা। দক্ষিণ ফ্যাসন গ্রামের দিন মজুরের কন্যার কাছ থেকে ৩৫০০টাকা গ্রহণ করা হয়েছে। দিন মজুর ও খেটে খাওয়া অভিভাবকের জন্যে কলেজ অধ্যক্ষ মো. হোসেন এর নিকট থেকে কেউ অতিরিক্ত টাকা গ্রহণে ছাড় পায়নি। এমদাদুল হক মিলনের বাগনির কাছ থেকে ৩০০০টাকা গ্রহণ করা হয়েছে।
এইচ এসসি মানবিক পরীক্ষার্থী আরজু আক্তারের কাছ ২৭০০টাকা গ্রহণ করা হয়। এই ভাবে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায় করা হয়েছে। কলেজ কর্র্তৃপক্ষের দাবী তাদের কাছ থেকে কেন্দ্র ফি ও খরচবাবদ টাকা আদায় করা হয়। দেখা যায় এইচ এসসির প্রবেশপত্র গ্রহণের সময়ে শিক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি ৫০০টাকা আদায় করা হয়।
এই ব্যপারে কলেজের অধ্যক্ষ মো. হোসেন বলেন, বোর্ডের নির্ধারিত ফি অনুযায়ী ফরম পুরণের টাকা নেয়া হয় অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হয়না। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জিয়াউল হক মিলন বলেন, আমরা অভিযোগ পেলেই বোর্ডকে অবগত করব অধ্যক্ষ কারো কথা শুনেনা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমীন বলেন, লিখিত অভিাযোগ করলে আমাদের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সুবিধা হবে।

এএইচ/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২৩:১২:৪৩ ● ৩৩৩ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ