
চট্টগ্রাম সাগরকন্যা প্রতিনিধি ॥
চট্টগ্রাম আদালত ভবনে জেলা পুলিশের মালখানা থেকে ২৭ লাখ টাকা নিয়ে গেছে চোর। সোম ও মঙ্গলবার দু’দিন ধরে মালখানার সব আলামত তালিকা ধরে যাচাই শেষে টাকা খোয়া যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয় পুলিশ।
চট্টগ্রাম জেলা আদালতের পরিদর্শক (প্রসিকিউশন) বিজন কুমার বড়ুয়া বলেন, মোট ২৭ লাখ ২২ হাজার ৯৭১ টাকা নিয়ে গেছে চোর। মোট ৬৪টি মামলার আলামত হিসেবে ছিল টাকাগুলো। জেলার ১৬টি থানার মামলার আলামত হিসেবে জব্দ করা এসব টাকা মালখানায় একটি আলমারিতে রাখা ছিল। সেটি ভেঙ্গে চোর টাকাগুলো নিয়ে গেছে। ওই মালখানায় বিভিন্ন মামলার আলামত হিসেবে জব্দ করা টাকা, স্বর্ণ, মাদকসহ নথিপত্র রাখা হয়। জেলার সবগুলো থানার মামলার আলামত হিসেবে জব্দ করা মূল্যবান উপকরণ এই মালখানায় রাখা হয়।
পুলিশ কর্মকর্তা বিজন কুমার বড়ুয়া বলেন, কাগজপত্র তছনছ করা হয়েছে, তবে কোনো মামলা সংক্রান্ত নথিপত্র খোয়া যায়নি। মূল্যবান আলামত যেমন ডলার, সোনার বার বা বেশি পরিমাণ টাকা আলামত হলে সেসব আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে জমা রাখি। ৩ মার্চ জোরারগঞ্জ থানার সোনার পাহাড় এলকায় একটি জিপে তল্লাশি চালিয়ে ৬০০টি সোনার বার জব্দ করা হয়। যার ওজন ৬০ কেজি এবং বাজার মূল্য ২৪ কোটি টাকা বলে জানিয়েছিল পুলিশ।
নিয়ম অনুসারে, এসব সোনার বার দ্রুততম সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে জমা করা হয়। শুক্র, শনি ও রোববার টানা তিনদিনের ছুটি শেষে সোমবার সকালে মালখানার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চুরির বিষয়টি টের পায়। চোর মালখানার মূল দরজার তালা ভেঙে সেখানে নতুন তালা লাগিয়ে দিয়ে যায়। ভেতরে থাকা আরেকটি দরজা ভাঙে। এ ঘটনায় মালখানার দায়িত্বে থাকা দুই পুলিশ কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তবে ওই মালখানায় সিসিটিভি ক্যামরা নেই। গত সোমবার সকালে সিআইডি, ডিবি ও পিবিআই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তবে চুরির ঘটনায় কেউ এখনো আটক হয়নি। বিজন কুমার বড়ুয়া বলেন, আজ রাতেই মামলা হবে। কোতোয়ালি থানায় যাব মামলা করতে।
এফএন/কেএস