ওয়ারিশ সনদে তিন বোনের নাম বাদ-কলাপাড়ায় অধিগ্রহণের পাঁচ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » ওয়ারিশ সনদে তিন বোনের নাম বাদ-কলাপাড়ায় অধিগ্রহণের পাঁচ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ
বুধবার ● ৮ ডিসেম্বর ২০২১


কলাপাড়ায় অধিগ্রহণের পাঁচ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা অফিস॥

তিন বোনের নাম ওয়ারিশ সনদ থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, ধানখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন তালুকদার, মহিলা মেম্বার কহিনুর ও সনাক্ত কারী দফাদারের সই জাল করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের ভুয়া স্মারক নম্বর ব্যবহার করে জমি অধিগ্রহণের চার লাখ ৯৮ হাজার ৩১৮ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কলাপাড়া উপজেলার লোন্দা গ্রামের মায়া বেগম তার আপন ভাই দুলাল গাজীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ দিয়েছেন। পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসকের কাছে দেয়া লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, লোন্দা মৌজার তাদের পৈত্রিক জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। যার  এল এ কেস নম্বর ১৩/২০১৬-১৭, এওয়ার্ড ক্রমিক নম্বর ১০০৯। তার বাবা সেরজন গাজীর মৃত্যুতে দুই ভাই ও তিন  বোন ওয়ারিশ বিদ্যমান রয়েছেন। তিনি জানান, আমরা আমাদের ক্ষতিপুরনের টাকা উত্তোলনের জন্য আবেদন করি।যার মিস কেস নম্বর ৩০২২/২০১৯-২০। কিন্তু মায়া বেগম জানান, তারা মহিলা বিধায় অফিসে তেমন যোগাযোগ করতে পারেন নি। এ সুযোগে তিন বোনকে ওয়ারিশ থেকে বাদ দিয়ে দুলাল গাজী ও মোকলেচ গাজী নিজেদের একমাত্র ওয়ারিশ দেখিয়ে আলাদাভাবে পেমেন্ট মিসকেস দাখিল করে। যার নম্বর ৪৫৪০/২০২০-২১। এই কেস দাখিল করে সমুদয় চার লাখ ৯৮ হাজার ৩১৮ টাকা উত্তোলন করে নেয়। এক্ষেত্রে অফিসে আগে দাখিল করা মিসকেস আড়ালে রাখা হয়েছে। বিষয় টি জানতে পেরে জিজ্ঞেস করলে তারা অস্বীকার করেন। বর্তমানে এ বিষয় প্রতিকার এবং টাকা পাওয়ার জন্য পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেন মায়া বেগম।
ধানখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন তালুকদার জানান, তিন বোনকে বাদ দিয়ে যে ওয়ারিশ সনদ দাখিল করা হয়েছে সেখানে তাদের সই জাল করা হয়েছে। একই বক্তব্য দিয়েছেন শণাক্তকারী মহিলা মেম্বার কহিনুর এবং দফাদার আঃ রহিম। এছাড়া অভিযুক্ত মোকলেচ গাজী জানান, তিনিও কোন টাকা পাননি। জালিয়াতি করে আমিসহ আমার তিন বোনের সকল টাকা  দুলাল গাজী ও শামিম তুলে নিয়েছে। দুলাল গাজীকে এ সংক্রান্ত বিষয় বহুবার মোবাইল করেও পাওয়া যায় নি। বর্তমানে বঞ্চিত মায়া বেগম পৈত্রিক সম্পত্তির অধিগ্রহনের টাকা পাওয়া এবং হাতিয়ে নেয়ার প্রতিকার চেয়ে ঘুরছেন দ্বারে দ্বারে।
পটুয়াখালী জেলা ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মোঃ আল ইমরান জানান, এ সংক্রান্ত কোন অভিযোগ তার কাছে পৌঁছেনি।

এমইউএম/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৯:৪৩:০৭ ● ১৩৩৯ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ