পিরোজপুর সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
বুধবার (৮ডিসেম্বর) পিরোজপুর মুক্ত দিবস। মুক্তিযোদ্ধারা পিরোজপুরকে হানাদার মুক্ত করতে সুন্দরবনের সাব-সেক্টর কমান্ডার মেজর (অব.) জিয়াউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল ৭ ডিসেম্বর রাত ১০টার দিকে পিরোজপুরের পাড়েরহাট বন্দর দিয়ে শহরে প্রবেশ করে। মুক্তিবাহিনীর এ আগমনের খবর পেয়ে শত্রু পক্ষ শহরের পূর্বদিকের কঁচানদী দিয়ে বরিশালের দিকে পালিয়ে যায়। আর ৮ ডিসেম্বর পিরোজপুর হানাদার মুক্ত হয়। ঘরে ঘরে ওড়ে বিজয়ের পতাকা।
বর্ণাঢ্য আয়োজনে পিরোজপুরে উদযাপিত হয় পিরোজপুর মুক্ত দিবস। এ উপলক্ষে বুধবার পিরোজপুর মুক্ত দিবস উদযাপন পরিষদের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দিবসটি পালনে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়ে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকাল সাড়ে ৯টায় শহীদ ভাগীরথী চত্বরে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক আবু আলী মো: সাজ্জাদ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল থান্দার খায়রুল হাসান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী রেবেকা খান, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল আহসান গাজী। এর পরপরই জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা আওয়ামীলীগ, পিরোজপুর পৌরসভা, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড, সরকারী সেহরাওয়ার্দী কলেজ, জেলা যুবলীগ, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ, জেলা ছাত্রলীগ সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ পুস্পমাল্য অর্পণ করেন। পুস্পমাল্য অর্পণ শেষে একটি র্যালী বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভাচ্যুয়ালি বক্তব্য রাখেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ.ম রেজাউল করিম এমপি।
দিবসটি উপলক্ষে পিরোজপুরের সাবেক সংসদ সদস্য এম এন এ এনায়েত হোসেন খান, সাবেক ডা. আব্দুল হাই, ডা. ক্ষিতিশ চন্দ্র মন্ডল এবং বদিউল আলম চৌধুরী, আজিজুর রহমান সিকদার, সাব-সেক্টর কমান্ডার মেজর (অব.) জিয়াউদ্দিন আহমেদকে মরণোত্তর সম্মাননা দেয়া হয়।
আরএইচএম/এমআর