তালতলীর শুভসন্ধ্যায় আবাসন সংকট, আগ্রহ হারাচ্ছে পর্যটকরা

প্রথম পাতা » বরগুনা » তালতলীর শুভসন্ধ্যায় আবাসন সংকট, আগ্রহ হারাচ্ছে পর্যটকরা
বৃহস্পতিবার ● ৩১ ডিসেম্বর ২০২০


তালতলীর শুভসন্ধ্যায় আবাসন সংকট, আগ্রহ হারাচ্ছে পর্যটকরা

আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

তালতলীর সাগর সৈকত সোনাকাটা ইকোপার্ক এবং শুভ সন্ধ্যা থাকছে উৎসব বঞ্চিত। দিনের বেলা পর্যটকদের পদচারনায় ইকোপার্ক ও শুভ সন্ধ্যা মুখরিত থাকলেও আবাসন ব্যবস্থা না থাকায় পর্যটকরা থাকতে পারছে না। এতে থার্টি ফাষ্ট নাইটসহ কোন উৎসব উদযাপনই হচ্ছে না সোনাকাটা ও শুভ সন্ধ্যায়।
বরগুনার তালতলী উপজেলার বন বিভাগের তালতলী রেঞ্জের ১০কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ফাতরারচর ও নিশানবাড়িয়া সংরক্ষিত বনাঞ্চল। ২০১১ সালে সরকার নির্মাণ করেন সোনাকাটা ইকোপার্ক। পায়রা নদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনায় এ সমুদ্র স্পটে দাড়িয়ে সুর্য্যাস্ত ও সূর্য্যদেয়ের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করেন পর্যটকরা। বন বিভাগের বাহারী গাছের সমাহারে প্রকৃতির লীলা ভুমিতে পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটকদের পদচারনায় মুখরিত হয় সমুদ্র ঘেষা ইকোপার্ক ও শুভ সন্ধ্যা। তারা প্রকৃতির অপার দৃশ্য উপভোগ করেন। কিন্তু এখানে থাকার সুব্যবস্থা না থাকায় পর্যটকরা থার্টি ফাস্ট নাইট উদযাপন করতে পারছে না।
পাথরঘাটার জাফর মিয়া বলেন, নিশানবাড়িয়া বনাঞ্চলের দৃশ্য দেখলে মনে হয় প্রকৃতির অপার সম্ভাবনা এখানে রয়েছে।
সোনাকাটা ইউপি সদস্য মোঃ আব্দুস ছালাম বলেন, সোনাকাটা ইকোপার্কে প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক আসে ইকোপার্ক ও শুভ সন্ধ্যায়। কিন্তু আবাসন ব্যবস্থা না থাকায় রাত যাপন করতে পারছেনা। ফলে থার্টি ফাষ্ট নাইটও উদযাপন হচ্ছে না।
সকিনা বিট কর্মকর্তা  বেলায়েত হোসেন বলেন, আবাসনের সুব্যবস্থা ও বন আইনের জটিলতায় থার্টি ফাস্ট নাইট উদযাপন হচ্ছে না।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, সোনাকাটা ইকোপার্ক ও শুভ সন্ধ্যার আধুনিকায়ন করতে সরকার সকল ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছেন। আগামী দু-এক বছরের মধ্যে এ অবস্থা থাকবে না।
তালতলী উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ রেজবি-উল কবির জোমাদ্দার বলেন, সোনাকাটাকে আধুনিক ইকোপার্ক ও সমুদ্র সৈকত শুভ সন্ধ্যায় পর্যটকদের আবাসনের পর্যটন কর্পোরেশন ও বরগুনা জেলা পরিষদ আধুনিক ডাক বাংলো নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে।

এমএইচকে/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২০:৩১:২৯ ● ৩১৭ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ