বেতাগীতে কেজি শিক্ষকদের মানবেতর জীবন

প্রথম পাতা » বরগুনা » বেতাগীতে কেজি শিক্ষকদের মানবেতর জীবন
সোমবার ● ৬ জুলাই ২০২০


বেতাগীতে কেজি শিক্ষকদের মানবেতর জীবন

বেতাগী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

বরগুনার বেতাগীতে মহামারী করোনার প্রভাবে সারা দেশের মতো দীর্ঘ সময় বন্ধ রয়েছে সরকারি-বেসরকারি সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এতে ব্যাক্তি মালিকনায় বা বেসরকারিভাবে পরিচালিত প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শাখার এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী বর্তমানে কর্মহীন হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তর সহ স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় বেসরকারিভাবে পরিচালিত প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শাখার এবং ণূরানীসহ ৩০ টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ সব প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৪ হাজার শিক্ষার্থী পড়া লেখা এবং দুই শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী কর্মরত রয়েছে। সরকারি কলেজ এলাকার আল-নাবিল ণূরানী প্রি ক্যাডেট একাডেমির পরিচালক শাহাদাত হেসেন মুন্না জানান, এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা শিক্ষার্থীদের বেতন এবং অবসরে টিউশনি করে পরিবার-পরিজন নিয়ে জীবনযাপন করে আসছিল কিন্ত করোনার প্রভাবে প্রতিষ্ঠানের পাশাপশি বন্ধ রয়েছে টিউশনি ও। ফলে বন্ধ হয়ে গেছে তাদের উপার্জনের একমাত্র পথ।
পৌর শহরে প্রতিষ্ঠিত পৌরসভা সংলগ্ন একে স্কুলের পরিচালক মুনতাসীর সালমান জীবু বলেন, এঅবস্থায় শিক্ষক-কর্মচারীরা বর্তমানে চরম অসহায়াত্বের মধ্যে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। এসব শিক্ষকরা অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মতোই সম্মানীয়। এর অধিকাংশ মধ্যবিত্ত পরিবারের। তাই তারা না পারছেন কারও কাছে চাইতে না পারছেন জীবিকা নির্বাহ করতে। ফলে কর্মহীন হয়ে চরম অসহায় হয়ে পড়েছেন।
গ্রীন সোলস কিন্ডারগার্ডেনের প্রধান শিক্ষক বিবি সায়মা বলেন, করোনার প্রভাবে শুরু থকেই প্রায় ৪ মাস যাবত আমরা মানবেতর জীবন-যাপন করে আসছি। প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি আমাদের টিউশনি বন্ধ হয়েগেছে। তবুও কারো কাছে সহযোগিতা চাইতে না পারায় চরম কষ্টে কাটাচ্ছি। বেতাগী ণূরানী মাদ্রাসার শিক্ষক মাসুম বিল্লাহ জানান, ব্যক্তি মালিকানায় প্রতিষ্ঠিত এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভবন ভাড়া নিয়ে পরিচালিত হয়। প্রতিষ্ঠান বর্তমানে বন্ধ থাকলেও নিয়মিত ভবনের ভাড়া, বিদ্যুৎবিল পরিশোধ করতে হয়। শিক্ষার্থীদের বেতনেই শিক্ষক ও কর্মচারিদের বেতন এবং অন্যান্য ব্যয় বহন করতে হয়। এতদিন ধারদেনা করে ভাড়া, বিদ্যুৎবিল পরিশোধ করে আসলেও বর্তমানে এসব খরচ চালানো সম্ভব হচ্ছে না। ফলে তাদের প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রাজীব আহসান জানান, এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে স্থানীয়ভাবে তাদেরকে সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে। তবে এ বিষয় সংশ্লিষ্টদের নিকট রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে

এমকে/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৯:৪০:৫৭ ● ৩০৫ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ